#বাঁকুড়া: বিরসা মুন্ডার মূর্তি বিতর্ক এখনো অব্যাহত বাঁকুড়া। মূর্তিটি বিরসা মুন্ডার নাকি ওই মূর্তি প্রতিকী তা নিয়ে বিতর্কের মাঝেই এবার শুরু হল মূর্তি শুদ্ধিকরনের প্রক্রিয়া নিয়ে শাসক বিরোধী তরজা। আর সেই তরজা এবার গড়াল বিরসা মুন্ডার জন্মদিনের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনেও।
গত ৫ নভেম্বর বাঁকুড়ায় আসেন দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। বাঁকুড়ায় পৌছেই পুয়াবাগান মোড়ে একটি মূর্তিকে বিরসা মুন্ডার মূর্তি দাবি করে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান অমিত শাহ। অমিত শাহ বাঁকুড়া ছাড়তেই পরের দিন ওই মূর্তি বিরসা মুন্ডার নয় দাবি করে মূর্তিটি দুধ ও গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধ করেন তৃনমূল। ওই শুদ্ধিকরণে পঞ্চায়েত দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা সহ অংশ নেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের রাইপুরের বিধায়ক বীরেন্দ্র নাথ টুডু ও বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু। এই ঘটনার দশ দিন যেতে না যেতেই আজ বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে আদিবাসীদের একাংশ ওই মূর্তি স্থলে হাজির হয়ে পুনরায় গোবর জল ছিটিয়ে ওই মূর্তি শুদ্ধিকরণ করেন। আজকের এই পুনঃ শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়ায় হাজির ছিলেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের দাবি এই অনুষ্ঠান সম্পূর্ন ভাবে অরাজনৈতিক।
বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার বলেন, আদিবাসীরা কখনো গঙ্গাজল বা দুধ দিয়ে শুদ্ধিকরণ করে না। তারা শুদ্ধিকরণের জন্য ব্যবহার করেন। তৃনমূল আসলে বিরসা মুন্ডার এই মূর্তিকে নিয়ে রাজনীতি করছে। পুনঃ শুদ্ধিকরনের ঘটনায় পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে তৃনমূল। মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরার বক্তব্য বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে এক শিকারীর প্রতিকী মূর্তিকে সম্মান জানিয়ে বিজেপি আসলে বিরসা মুন্ডাকে অসম্মান করল।
Mritunjoy Das