Heavy Rainfall: বানভাসী! টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত এলাকা... সুবর্ণরেখার জলে ভাসছে ঝাড়গ্রাম জেলার বিস্তীর্ণ অংশ

Last Updated:

মন্ত্রী জানান, সুবর্ণরেখার তীরে মাটি নেই, শুধুই বালি। ফলে জল এলেই বালি ধুয়ে নদীর গতিপথ বদলে যাচ্ছে। দক্ষিণ দিক উঁচু হয়ে যাচ্ছে, আর উত্তর দিক গভীর হচ্ছে। বাঁধের নীচে জল-ঘূর্ণি তৈরি হচ্ছে। এই পরিস্থিতি খুব বিপজ্জনক।

টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত এলাকা...
টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত এলাকা...
ঝাড়গ্রাম: নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা। এরই মধ্যে ঝাড়খণ্ডের গালুডি জলাধার থেকে এক লক্ষ ৩২ হাজার কিউসেক জল ছেড়ে দেওয়ায় বিপজ্জনকভাবে ফুলে ফেঁপে উঠেছে সুবর্ণরেখা নদী। জল বেড়ে যাওয়ায় গোপীবল্লভপুর ১ ও ২ ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের নদী পাড় ভেঙে পড়েছে, বহু ঘরবাড়ি বিপদের মুখে। সুবর্ণরেখার ভাঙন পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে কেন্দ্রকেই দায়ী করলেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া।
ধীরে ধীরে নিম্নচাপ সরে যাচ্ছে ঝাড়খন্ডের দিকে। সেখানে আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টিপাত হবে। ফলে ব্যারেজগুলি থেকে ছাড়া জলের পরিমাণ আরও বাড়বে। তাতে ফের প্লাবিত হবে এই রাজ্যের একাধিক জায়গা, এমনটাই আশঙ্কা। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই ফুলে ফেঁপে উঠেছে রাজ্যের একাধিক নদী।
advertisement
advertisement
রাজ্যের সেচ মন্ত্রীর অভিযোগ, ‘ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড সরকার অনুমতি ছাড়া, রাজ্যকে না জানিয়েই হঠাৎ বিপুল পরিমাণ জল ছেড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি জানিয়েছেন, একাধিক চিঠিও দিয়েছেন। আমি নিজেও অনুরোধ করেছি, কাজ হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে চলছে। উদ্দেশ্য, বাংলাকে আরও কষ্টে ফেলা।’ এদিন সেচ দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার, এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল, বিডিও প্রমুখকে নিয়ে পরিদর্শনে যান। প্রথমে গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের তপসিয়া অঞ্চলের কাতুয়া খাল এলাকায়। সেখানে কজওয়ের উপর দিয়ে খালপথে জল বইছে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এরপর মালিঞ্চা গ্রামে। এখানেই সুবর্ণরেখার ভয়াবহ ভাঙনে বহু ঘরবাড়ি নদীর গর্ভে চলে যেতে বসেছে। মন্ত্রী অবিলম্বে প্রায় ১,২০০ মিটার পাড় বাঁধাইয়ের জন্য সরাসরি ফোনে কথা বলেন সেচ দফতরের অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে। পরে গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লকের বাঘডিহা গ্রাম ও জালবেন্তি ডোমপাড়া পরিদর্শন করেন।
advertisement
বাঘডিহার ৫০০ মিটার রাস্তা অতিবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত। জালবেন্তি ডোমপাড়ার ৩০০-৩৫০ মানুষ নদীভাঙনে বিপন্ন। মন্ত্রী জানান, সুবর্ণরেখার তীরে মাটি নেই, শুধুই বালি। ফলে জল এলেই বালি ধুয়ে নদীর গতিপথ বদলে যাচ্ছে। দক্ষিণ দিক উঁচু হয়ে যাচ্ছে, আর উত্তর দিক গভীর হচ্ছে। বাঁধের নীচে জল-ঘূর্ণি তৈরি হচ্ছে। এই পরিস্থিতি খুব বিপজ্জনক।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Heavy Rainfall: বানভাসী! টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত এলাকা... সুবর্ণরেখার জলে ভাসছে ঝাড়গ্রাম জেলার বিস্তীর্ণ অংশ
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement