রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা তলানিতে, তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বেই হামলা জাকির হোসেনের উপর: অধীর চৌধুরী

Last Updated:

রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা তলানিতে এসে থেকেছে। তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বেই এমন নির্মম হামলা জাকির হোসেনের উপর। শ্রম প্রতিমন্ত্রীর ওপরে আক্রমণের ঘটনায় ক্ষোভ উগরে এমনটাই দাবি প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরীর।

#বহরমপুর: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা তলানিতে এসে থেকেছে। তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বেই এমন নির্মম হামলা জাকির হোসেনের উপর। শ্রম প্রতিমন্ত্রীর ওপরে আক্রমণের ঘটনায় ক্ষোভ উগরে এমনটাই দাবি প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরীর। অধীর বলেন, "জাকির হোসেন বিরোধী দলের মন্ত্রী হলেও তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয় দীর্ঘদিনের। তিনি জেলার বড় ব্যবসায়ী। হাজার হাজার মানুষের রুটি-রুজির ব্যবস্থা করেন। তিনি একসময় কংগ্রেসের সমর্থক ছিলেন। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই তাঁর শত্রু বেড়েছে৷ ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি৷" পাশাপাশি, মন্ত্রীকে তিনি পরোপকারী বলেও বর্ণনা করেন। একইসঙ্গে বলেন, "গরু পাচার নিয়ে জাকির হোসেন সরব হয়েছিলেন একটা সময়। এখন নেই পাচারকারীরা সবাই পুলিশের জালে। তাদেরই ঘনিষ্ঠ কেউও এই ঘটনা ঘটয়ে থাকতে পারে। ফলে ঘটনার নিরপেক্ষা তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।"
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের ওপর হামলা চালায়  দুষ্কৃতীরা। তাঁকে লক্ষ্য করে একের পর এক বোমা ছোঁড়া হয়। এ দিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে কলকাতা আসার জন্য গাড়িতে নিমতিতা স্টেশন যাচ্ছিলেন তিনি। মন্ত্রী স্টেশনে পৌঁছতেই তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি বোমা ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন মন্ত্রী।
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্ত্রীর, মন্ত্রীর বাম পায়ে এবং হাতে গুরুতর আঘাত রয়েছে। ট্রমা কেয়ারে আপাতত রয়েছেন মন্ত্রী। তাঁকে হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে রাখা হয়েছে। এ দিন শ্রম প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ওই সময় বেশকিছু দলীয় কর্মী ছিলেন তাঁদের মধ্যে অনেকে আক্রান্ত হয়ে আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের একাধিক জনের শরীরে একাধিক জায়গায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। চার-পাঁচজনের পা বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শত্রুতা থেকেও কেউ এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।
advertisement
advertisement
উল্লেখ্য, এলাকায় বেশ দাপুটে ও জনপ্রিয় ছিলেন জাকির হোসেন। মূলত ব্যবসায়ী ও সৎ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত জাকির। যিনি জেলায় গরু পাচার নিয়ে প্রথম সরব হন। তাই নিয়ে দলের একাংশের বিরাগভাজন হন তিনি। সেই রাগ থেকেই এই ঘটনা কিনা, তদন্ত করে দেখছে জেলা পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, দুষ্কৃতীরা দলে ১০-১২ জন ছিলেন। তারা সকলের মুখ বাঁধা অবস্থায় ছিলেন। ফলে সেভাবে কারও মুখ দেখা যায়নি। পুলিশ স্টেশনে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে কথা বলা শুরু করেছে। ঘটনাস্থলে যাচ্ছে মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার। জেলা শীর্ষ নেতৃত্বরা কলকাতা থেকে সড়কপথে রওনা দিয়েছেন।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা তলানিতে, তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বেই হামলা জাকির হোসেনের উপর: অধীর চৌধুরী
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement