#বর্ধমান: সেদিন ছিল ২৮ মে, ১৯৩৮৷ বর্ধমান স্টেশনের পোর্টিকোয় এসে দাঁড়ালেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু৷ অপেক্ষায় ভিড় করে ছিলেন উৎসাহী মানুষ৷ ট্রেন থেকে নেমে বর্ধমান স্টেশনে এক নম্বর প্ল্য়াটফর্ম পার হয়ে এসে দাঁড়িয়েছিলেন নেতাজি৷ অপেক্ষা শেষ, তারপর ছিল অবাক হওয়ার পালা৷ বর্ধমান পুরসভার নির্বাচন উপলক্ষে রেলস্টেশনের পোর্টিকোয় সংবর্ধনা নিতে যান তিনি৷ এরপর যান পুরসভা ভবনে৷ সেখানে আলাপ আলোচনার পর নেতাজির গন্তব্য় ছিল নতুনগঞ্জের ঈশ্বরীতলা৷ সেখানে নির্বাচনী ভাষণ দেন তিনি৷
ইতিহাস গবেষক সর্বজিত যশ জানিয়েছেন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু বর্ধমান স্টেশনে এসেছেন ৪ বার৷ প্রথম বর্ধমানে আসেন ১৯২৮ সালে৷ তখন ছিলেন বর্ধমানের টাউনহলে৷ সেবার দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের তৈলচিত্র উন্মোচন করেন নেতাজি৷ এর তিন বছর পর ১৯৩১ সালে বর্ধমানে আত্মীয় শ্রীকুমার মিত্রের বাড়িতে যান নেতাজি৷ বর্ধমানের ঢলদিঘিতে পয়লা ও দোসরা ডিসেম্বর আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু৷
চতুর্থবার নেতাজি বর্ধমানে এসেছিলেন ১৯৪০ সালের চৌঠা অগাস্ট। সেদিন তিনি বিশিষ্ট আইনজীবী ভামিনীরঞ্জন সেনের বাড়িতে রাত কাটান৷ তিনি বি সি রোড কালীতলায় পাইওনিয়র ব্যাঙ্কের উদ্বোধন করতে এসেছিলেন। সেদিন অনুগামীদের সঙ্গে হেঁটে স্টেশন থেকে কার্জন গেট হয়ে বিসি রোড কালীতলায় পৌঁছন। কার্জন গেট দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় একটি দোকানে ঢুকে মিষ্টি খান নেতাজি। তারপর বিশিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার পর ভামিনীরঞ্জন সেনের বাড়িতে যান। ৪ জানুয়ারি রাতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বর্ধমান রেল স্টেশনের পোর্টিকো-সহ বিল্ডিংয়ের একাংশ৷ নড়বড়ে অংশ ভেঙে ফেলার কাজ করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ৷ ইতিমধ্য়েই ভেঙে ফেলা হয়েছে পোর্টিকো৷ যাত্রী ও বাসিন্দাদের দাবি, ঐতিহ্য ও ইতিহাস বিজড়িত বর্ধমান স্টেশনের বিল্ডিংটির পুনর্নির্মাণ হোক৷ পোর্টিকোর সামনে বসুক নেতাজির মূর্তি৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Burdwan Station, Netaji, নেতাজি