হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
কেউ পরবে কেউ পরবে না তা হয় না, পুজোর মুখে অকাতরে নতুন কাপড় বিলি করছেন ওঁরা

কেউ পরবে কেউ পরবে না তা হয় না, পুজোর মুখে অকাতরে নতুন কাপড় বিলি করছেন ওঁরা

নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব চিত্র

শনিবার সেই বস্ত্রদান শুরু হল বর্ধমানে। আগামী কয়েকদিনে বিভিন্ন ব্লকে ঘুরে ঘুরে দরিদ্র বাসিন্দাদের হাতে বস্ত্র তুলে দেবেন সংগঠনের সদস্যরা।

  • Share this:

#বর্ধমান: লকডাউনে একটানা বেশ কয়েকদিন ধরে পনেরো হাজার বাসিন্দাকে রান্না করা খাবার দিয়েছিলেন তাঁরা।এবার পুজোর মুখে দেড় হাজার মহিলার হাতে নতুন কাপড় তুলে দিল বর্ধমান ডিস্ট্রিক্ট রাইস মিলস অ্যাসোসিয়েশন। শনিবার সেই বস্ত্রদান শুরু হল বর্ধমানে। আগামী কয়েকদিনে বিভিন্ন ব্লকে ঘুরে ঘুরে দরিদ্র বাসিন্দাদের হাতে বস্ত্র তুলে দেবেন সংগঠনের সদস্যরা।

পূর্ব বর্ধমান জেলায় লকডাউন শুরু হতেই চরম সমস্যায় পড়েছিলেন দরিদ্র বাসিন্দারা। দিন আনি দিন খাই পরিবারের সদস্যরা দিন গুজরান কিভাবে হবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল জেলার রাইস মিল মালিকরা। চাল, ডাল, আলু দেওয়ার বদলে প্রতিদিন রান্না করা খাবার সরবরাহ করেছিল বর্ধমান ডিস্ট্রিক্ট রাইস মিলস অ্যাসোসিয়েশন। সংস্থার কার্যকরী সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে রাইস মিল শিল্প। তা সত্ত্বেও লকডাউনের সময় পনেরো হাজার বাসিন্দাকে রান্না করা খাবার দেওয়া হয়েছে। এখন আমরা অনুভব করছি অনেকেরই পুজোয় নতুন কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই। সেই উপলব্ধি থেকেই আমরা জেলাজুড়ে পনেরশো বাসিন্দার হাতে নতুন পোশাক তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শনিবার থেকে সেই কাজ শুরু হয়েছে।

এদিন সংস্থার পক্ষ থেকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাসিন্দাদের হাতে নতুন কাপড় তুলে দেন রাজ্য সরকারের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, রাইস মিল মালিকদের এই উদ্যোগ সময়োপযোগী। তাঁরা বারবারই সমাজের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। লকডাউনের সময় ন্যায্যমূল্যে চাল সরবরাহ করে প্রশাসনকে সহযোগিতা করেছিলেন তাঁরা।এবার দরিদ্র বাসিন্দাদের হাতে নতুন পোশাক তুলে দিয়ে ফের সামাজিক দায়িত্ব পালন করছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা বাসিন্দাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ককে মুখ ঢেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।

অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে আব্দুল মালেক বলেন, পূর্ব বর্ধমান জেলাকে রাজ্যের শস্য ভান্ডার বলা হয়। এই জেলা থেকে রাজ্যের আট জেলায় গণবণ্টন ব্যবস্থার চাল সরবরাহ করা হয়। রাইস মিল শ্রমিকরা এই করোনা পরিস্থিতিতেও যাতে পুজোর বোনাস পান তার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাইস মিল কেমন চলছে তা তাঁরা ভালো জানেন। তাই সংশ্লিষ্ট রাইস মিল মালিকের সঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিকদের পুজোর বোনাস ঠিক করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Published by:Arka Deb
First published:

Tags: Burdwan Rice mil