#বর্ধমান: বর্ধমান শহরে ঢোকার মুখে নাকা চেকিং শুরু করল পুলিশ। শহরে ঢোকার মুখে আলিশা বাস স্ট্যান্ডের সামনে এই চেকিং শুরু হয়েছে। কলকাতার দিক থেকে আসা প্রতিটি চারচাকা, দু চাকা গাড়ি দাঁড় করিয়ে শহরে ঢোকার উদ্দেশ্য জানতে চাওয়া হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঢুকতে চাইলে তাদের শহরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। সেখান থেকেই তাদের ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যেখান থেকে এসেছেন সেখানে ফিরে যান বলছে পুলিশ। প্রয়োজনে করজোড়ে তাদের ফিরে যেতে অনুরোধ করছেন সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুলিশ কর্মীরা। একই ভাবে চেকিং চলছে বর্ধমানের নবাবহাট এলাকায়। সেখানেও দুর্গাপুরের দিক থেকে আসা বাসিন্দাদের ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। কালনা কাটোয়াতেও অন্য জেলার বাসিন্দাদের বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতেই এই বাড়তি নজরদারি বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে লক ডাউনই পথ। দেখা গিয়েছে লক ডাউন শুরু হওয়ার পর করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার নিম্নমুখী। এক জায়গা থেকে বাসিন্দারা এখন যাতে অন্যত্র যেতে না পারে তা নিশ্চিত করতে রাজ্য ও জেলার সীমানা সিল করার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। রবিবার সন্ধে থেকেই বর্ধমানে ঢোকার মুখগুলিতে শুরু হয়েছে পুলিশি নজরদারি। আলিশা বাসস্ট্যান্ড অস্হায়ী ক্যাম্প তৈরি করে দিনে রাতে সর্বক্ষণ নজর দারি চালানো হচ্ছে।
শহরের বাইরে থেকে অনেকেই আসছেন ওষুধ কেনার প্রয়োজনে। তাদের কাছ থেকে প্রেসক্রিবশন সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হচ্ছে। অন্য জেলার অনেকে স্হানীয় প্রশাসনের অনুমতি পত্র নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। অনেকে বর্ধমান শহরের বাসিন্দা বলে পরিচয় দিচ্ছেন। তাঁদের কাছে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড বা যে কোনও পরিচয় পত্র দেখতে চাওয়া হচ্ছে। দাঁড় করিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে অ্যাম্বুলান্সেও। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের সীমানার পাশাপাশি শহরের ভেতরেও অভিযান চলছে। অনেকে সকাল সন্ধে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসছেন। তাদের বুঝিয়ে বাড়িতে ঢোকানো হচ্ছে।