বাবা চালান ছোট্ট মুদি দোকান, মেয়ে আক্রান্ত বিরল রোগে! বাঁচাতে প্রতিমাসে প্রয়োজন ৫০ হাজার টাকা, দিশেহারা পরিবার

Last Updated:

চিনপাই গ্রামের সাত বছরের আরাধ্যার জীবন-মরণ লড়াই, বিরল রোগে আক্রান্ত নিষ্পাপ কন্যাকে বাঁচাতে মাসে ৫০ হাজার টাকার ওষুধ।

+
বন্যা

বন্যা থেকে বাঁচতে বাঁধে আশ্রয়! ঠাঁই হলনা সেখানেও গঙ্গা গিলে খেল শেষ সম্বলটুকু

দুবরাজপুর, বীরভূম, সুদীপ্ত গড়াই: বীরভূমের সদাইপুর থানার চিনপাই গ্রামের ছোট্ট মেয়ে আরাধ্যা গড়াই মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। বছর সাতেকের এই নিষ্পাপ শিশু এক বিরল জিনগত রোগ টাইরোসিনেমিয়া টাইপ-১ (HTI) এ আক্রান্ত। এই রোগে ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তার কিডনি, লিভার ও স্নায়ুতন্ত্র। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই অসুখ প্রাণঘাতী। সময়মতো সঠিক ওষুধ না পেলে ছোট্ট আরাধ্যার জীবন বাঁচানো সম্ভব নয়।
কিন্তু সেই ওষুধের খরচ মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। বাবা সন্তোষ গড়াই গ্রামের একটি ছোট্ট মুদিখানা দোকান চালান। সংসার সামলাতেই যেখানে হিমশিম খেতে হয়, সেখানে এত বড় অঙ্কের টাকা জোগাড় করা তাদের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব। মা চন্দ্রকোণা গড়াইয়ের চোখে প্রতিদিন জল, অসহায়তার যন্ত্রণা। এর আগে এই একই রোগে তাঁদের আরেক সন্তান দুই বছর বয়সে মারা গেছে। সেই ক্ষতের ওপর আরও গভীর দগদগে ঘা হয়ে এসেছে আরাধ্যার অসুখ।
advertisement
advertisement
বীরভূমের ওই পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আরাধ্যার চিকিৎসা চলছে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নিউরো মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ যশোধরা চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে। এছাড়াও এসএসকেএম হাসপাতালের রেয়ার ডিজিজ সেন্টার থেকেও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আরাধ্যার মা চন্দ্রকোণা গড়াই জানান, মাত্র ১১ মাস বয়সে প্রথম এই রোগ ধরা পড়ে। পরিবারের আরেক সন্তানও একই রোগে আক্রান্ত হয়ে দুই বছর বয়সে মারা যায়। এরপর আরাধ্যার শরীরেও ধরা পড়ে একই রোগ। বর্তমানে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছে সে। স্কুলেও আর দুই মাস ধরে যাওয়া বন্ধ হয়েছে। সঠিক চিকিৎসার অভাবে এখন হাঁটাচলা, দৌড়ানো, এমনকি স্বাভাবিক চলাফেরাতেও সমস্যা হচ্ছে ছোট্ট মেয়েটির।
advertisement
বাবা সন্তোষ গড়াই আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন, “ডাক্তারবাবুরা বলছেন মাসে ৫০ হাজার টাকার ওষুধ খাওয়াতে হবে। সেটা আমাদের সাধ্যের বাইরে। আমি গ্রামে ছোট্ট দোকান চালাই, সংসারই ঠিকমতো চলে না। মেয়ের চিকিৎসা করব কীভাবে বুঝতে পারছি না। সরকারি সাহায্য বা দানশীল মানুষদের সহায়তা ছাড়া মেয়েকে বাঁচানো সম্ভব নয়।”
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
বাবা চালান ছোট্ট মুদি দোকান, মেয়ে আক্রান্ত বিরল রোগে! বাঁচাতে প্রতিমাসে প্রয়োজন ৫০ হাজার টাকা, দিশেহারা পরিবার
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement