হালিশহরে বিজেপি কর্মী খুনে গ্রেফতার রাইডার বাবাই-সহ ৩, বীজপুর থানা ঘেরাও বিজেপির
- Published by:Shubhagata Dey
- news18 bangla
Last Updated:
বীজপুরে বিজেপি কর্মী খুনের ১২ ঘণ্টার মধ্য তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতেরা হল সোমনাথ গঙ্গোপাধ্যায় ওরফে কেলে, সুদীপ্ত ঘোষ ওরফে রাইডার বাবাই এবং সৌমেন সাহা ওরফে ল্যাচা।
#হালিশহর: বীজপুরে বিজেপি কর্মী খুনের ১২ ঘণ্টার মধ্য তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। খুনের ঘটনায় বীজপুর থানার পুলিশ প্রথমে চারজন এবং পরে আরও একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। এরপর তাদের মধ্যে থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতেরা হল সোমনাথ গঙ্গোপাধ্যায় ওরফে কেলে, সুদীপ্ত ঘোষ ওরফে রাইডার বাবাই এবং সৌমেন সাহা ওরফে ল্যাচা। বাকি দু'জনকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রবিবার ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়। রাইডার বাবাই, কেলে এবং ল্যাচার বিরুদ্ধে ৩০২ (খুন), ৩২৫, ৩৬০, ১২০বি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ধৃতেরা সকলেই স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত।
প্রসঙ্গত, শনিবার বিকালে বারেন্দ্রগলি এলাকায় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে 'গৃহ সম্পর্ক' অভিযান যাত্রায় সামিল হয়েছিলেন এলাকায় বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত সৈকত ভাওয়াল (৩২)। সেই সময়েই প্রথম সৈকত এবং দলের অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে অশান্তি বাধে স্থানীয় দুষ্কৃতীদের। অভিযোগ, সেই অশান্তির সূত্র ধরেই সন্ধ্যায় জনা ২৫-৩০ জন তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতি 'গৃহ সম্পর্ক অভিযান'-এ সামিল কর্মীদের উপর চড়াও হয়। তাদের হাত রড, বাঁশ, লাঠি ছিল। সেই সব দিয়েই বেধড়ক মারধর করা হয় বিজেপি কর্মীদের।
advertisement

advertisement
বিজেপির দাবী, সেই মারেই জখম হন সৈকত ভাওয়াল-সহ দলের সাত কর্মী। তাদের সবাইকে কল্যানীর জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সৈকতকে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানিয়ে দেন। এ দিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বীজপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরে আরও পুলিশ বাহিনী দিয়ে এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। এ দিকে, সৈকতের মৃত্যুর খবর পেয়ে কল্যানীর জেএনএম হাসপাতালে পৌঁছয় বিজেপি নেতৃত্ব। হাসপাতালেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। আওয়াজ ওঠে 'বদলা'র। বিক্ষোভের মধ্যেই বিজেপির বারাকপুর সংসদীয় জেলার সভাপতি উমা শঙ্কর সিং হুশিয়ারি দেন, 'এটাই ব্যারাকপুরে তাঁদের পার্টি কর্মীর শেষ রক্ত। এরপর তাঁদের কর্মীদের রক্ত ঝরলে, তাঁরাও চুপ করে থাকবেন না।আগুন জ্বলবে তখন।'
advertisement
তাঁরই এলাকা বীজপুরে দলীয় কর্মী আক্রান্ত শুনে কল্যানী জেএনএম হাসপাতালে যান বীজপুরের বিধায়ক তথা মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়। দলীয় কর্মীর মৃত্যুতে বদলার কথা মুখে না বললেও ইঙ্গিত ছিল সে দিকেই। শুভ্রাংশু বলেন, "আর নয় অন্যায়। দলীয় কর্মসূচিতে সৈকত ভাওয়ালরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছিল। সেখানে তৃণমূল গিয়ে এভাবে মায়ের কোল খালি করে দিল। আমি বলতে পারব না আর একজনের মায়ের কোল খালি করার কথা। তবে যার মায়ের কোল খালি হল সে তো বদলা নেবেই।' একই সুর শোনা গিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলায়। কয়েকটি ছবি ট্যুইট করে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিজেপি–র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়। তিনি লেখেন, "আমি শুধুমাত্র এই ছবিগুলির মাধ্যমে এটা বোঝাতে চাইছি যে তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে কী ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এ রাজ্যে গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে।"
Location :
First Published :
December 13, 2020 5:03 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
হালিশহরে বিজেপি কর্মী খুনে গ্রেফতার রাইডার বাবাই-সহ ৩, বীজপুর থানা ঘেরাও বিজেপির