পুজোয় বরাত নেই, ভাল নেই পুরুলিয়ার চড়িদা

Last Updated:

মুখোশের গ্রাম, চড়িদা। বাঘমুণ্ডি থেকে কিলোমিটার তিনেকের পথ। অযোধ্যা পাহাড়ের কোলে, শ'খানেক পরিবারের বাস।

পুরুলিয়া: দেওয়াল জুড়ে ছৌয়ের মুখোশ। মুখোশের গ্রাম পুরুলিয়ার চড়িদা। উৎসবের সময়েও, যে গ্রাম দমবন্ধ করে আছে। অপেক্ষায় আছে সুদিনের। কবে আবার ভাগ্য ফিরবে। গ্রামে খদ্দের আসবে। ডাক আসবে পুজো-পার্বণ-মেলায়। ঘরে আসবে টাকা।
মুখোশ আঁকছিলেন রাজু সূত্রধর। আঁকছিলেন দুর্গার মুখ। ইদানীং মন বশে থাকে না। মাথায় ভিড় করে রাজ্যের চিন্তা।
মহাজনের টাকা মেটানোর চিন্তা। খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার চিন্তা, অন্যমনস্ক করে দেয়। কার্তিক মাস পরলেও, দিনের বেলা বেশ গরম।
advertisement
খোলা দরজা দিয়ে রোদের হলকা আসে, ঘরটায়। সেই আলোতেই ঝলমল করে জরি-চুমকি। চকমকি মুখোশ।
মুখোশের গ্রাম, চড়িদা। বাঘমুণ্ডি থেকে কিলোমিটার তিনেকের পথ। অযোধ্যা পাহাড়ের কোলে, শ'খানেক পরিবারের বাস।
advertisement
বাপ-ঠাকুর্দাকে দেখে শেখা। বংশ পরম্পরায়, মুখোশ বানান চড়িদার শিল্পীরা। ছৌ-নাচের মুখোশ। কারও কারও ছৌ-নাচের দলও আছে।
নাচিয়েদের মুখ ঢাকে মুখোশে। ঝকমকি সাজে। চড়িদা সাজায়। অযোধ্যা পাহাড় ঘুরতে এলে, চড়িদা আসেন পর্যটকেরা। ঘর সাজানোর জন্য মুখোশ কেনেন। দুর্গা, গণেশ। রাম-সীতা। সাঁওতাল পরিবারের মুখ। আলো করে শহরের ড্রয়িংরুম।
আপাতত চড়িদার দু-চোখে অন্ধকার। মাস আটেক হয়ে গেল। করোনার ধাক্কায়, ব্যবসা বন্ধ। লকডাউনের পর থেকেই কেউ আসে না। বিক্রিও হয় না।
advertisement
পুজোর সময়, কলকাতার কত বারোয়ারি বরাত দেয়। প্যান্ডেল সাজে চড়িদার শিল্পীদের ছোঁয়ায়। আর চৈত্র মাসে। গাজনের সময়। তখন মুখোশের দারুণ কদর। জটাজুটো ভোলানাথ, নন্দী-ভৃঙ্গি, সাজে কত না মানুষ।
এবছর সব পণ্ড। পুজোয় বরাত নেই। গাজনেও গাঁয়ে আসবে না খরিদ্দার। শিল্পীরা ভাবেন, মহাজনের থেকে চড়া সুদে ধার করা টাকা! কীভাবে মেটাবেন?
advertisement
পরিমল দত্ত, মুখোশ শিল্পী
কলকাতা ফিতে ফেলে মাপছে। হিসেব কষছে ঠাকুর দেখার দূরত্ব। ঠিক-বেঠিক। বেঠিক-ঠিকের তর্কে মশগুল। আর চড়িদা, হিসেব কষছে জীবনে। চাল-ডাল-হেঁশেলের।
যন্ত্রের মতো, দুর্গার মুখ আঁকেন রাজু। দুর্গা, শুধু, ড্যাবডেবিয়ে তাকিয়ে থাকেন।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
পুজোয় বরাত নেই, ভাল নেই পুরুলিয়ার চড়িদা
Next Article
advertisement
সাউথ ব্লক ছেড়ে নতুন ঠিকানায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর! সেন্ট্রাল ভিস্তায় গড়ে উঠল ‘সেবাতীর্থ’ কমপ্লেক্স, অমিত শাহ বললেন 'সোনালি যাত্রাপথ'!
সাউথ ব্লক ছেড়ে নতুন ঠিকানায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর! সেন্ট্রাল ভিস্তায় গড়ে উঠল ‘সেবাতীর্থ’
  • প্রধানমন্ত্রীর দফতর সাউথ ব্লক ছেড়ে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের নতুন কমপ্লেক্সে যাচ্ছে.

  • সেবাতীর্থ কমপ্লেক্সে থাকবে ক্যাবিনেট সচিবালয় ও NSA অজিত ডোভালের দফতর.

  • সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের অংশ হিসেবে নতুন প্রশাসনিক পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে.

VIEW MORE
advertisement
advertisement