ময়নাতদন্তের পর আকাঙ্খার দেহ তুলে দেওয়া হল পরিবারের হাতে
Last Updated:
ভোপালে খুন হওয়া এরাজ্যের মেয়ে আকাঙ্খা শর্মার দেহ ময়নাতদন্তের পর তুলে দেওয়া হল তাঁর পরিবারের হাতে ৷
#ভোপাল: ভোপালে খুন হওয়া এরাজ্যের মেয়ে আকাঙ্খা শর্মার দেহ ময়নাতদন্তের পর তুলে দেওয়া হল তাঁর পরিবারের হাতে ৷ ভোপালের সুভাষনগর শ্মশানেই আজ আকাঙ্খার শেষকৃত্য হবে ৷ ময়নাতদন্তের পর দেহ তুলে দেওয়া হয় আকাঙ্খার দাদার হাতে ৷ গতকাল শুক্রবারই ধৃত উদয়ন দাসের বাড়ি থেকে পাওয়া মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয় ৷
আকাঙ্খার DNA-র নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৷ জামা-কাপড় দেখেই প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয় দেহ ৷ নিশ্চিত হতে তাই ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ কঙ্কাল থেকেই নমুনা সংগ্রহ করার পাশাপাশি আকাঙ্খার পরিবার থেকেও নমুনা নেওয়া হবে ৷
উদয়ন দাসকে গ্রেফতারের পর জেরায় অনেক তথ্যই ইতিমধ্যে জানতে পেরেছে পুলিশ ৷ জেরায় যে চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে আপাতত এসেছে , সেটা হল উদয়নের সঙ্গে আকাঙ্খা ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন মহিলার সম্পর্ক ছিল ৷ তাদেরকে সে নিজের ঘরেও নিয়ে আসত মাঝেমধ্যেই ৷ এই নিয়েই আকাঙ্খার সঙ্গে ঝামেলা হয় উদয়নের ৷ অভিযুক্ত অত্যন্ত প্রভাবশালী পরিবারেরই ছেলে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদস্থ অফিসার বলেই নিজেকে সবসময় দাবি করত উদয়ন ৷ এমনকী, টাকা নিয়েও ঝামেলা হয় উদয়ন ও আকাঙ্খার মধ্যে ৷ বরাবরই বিলাসবহুল জীবনযাপনে অভ্যস্ত উদয়ন ৷ বিলাসবহুল গাড়িতে চড়েও ঘুরে বেড়াতে দেখা যেত তাকে ৷ তবে উদয়নের আচরণ স্বাভাবিক নয় বলেই জানিয়েছেন স্থানীয়রা ৷ তার ঘরে বিভিন্ন দেশের পতাকাও পাওয়া গেয়েছে ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও চ্যাট বা চ্যাটিংয়ের সময় উদয়ন তার বান্ধবীদের জানাত, যে সে বিদেশ থেকে অনলাইন ৷ এছাড়া গাড়িতে ঘোরার সময় পাশের সিটে একটা টেডি বিয়ারকে সিট বেল্ট দিয়ে বেঁধে রাখত সে ৷ উদয়নের যেমন একাধিক নারীসঙ্গ ছিল, তেমনি আকাঙ্খাও এর মধ্যে অন্য কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে জানতে পেরেছিল উদয়ন ৷ এর জেরেই দু’জনের মধ্যে বচসা হয় ৷ বিশাল নামে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন আকাঙ্খা বলেই পুলিশকে জেরায় জানিয়েছে উদয়ন ৷
advertisement
advertisement
এই ঘটনা স্বভাবতই হইচই ফেলে দিয়েছে গোটা দেশেই। কী ভাবে এক যুবক ওই তরুণীকে মেরে মাসের পর মাস নিহতেরই মোবাইল থেকে হোয়্যাটস অ্যাপ করে তাঁর পরিবারকে বোকা বানিয়েছে, তা জেনে তাজ্জব তদন্তকারীরা। মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালের গোবিন্দনগর থানার সাকেতনগরের একটি বাড়িতে হানা দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মেঝে খুঁড়ে একটি দেহ উদ্ধার করে বাঁকুড়া পুলিশ। ওই বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয় খুনের মূল অভিযুক্ত, উদয়ন দাসকে। দেহ পোরা হয়েছিল টিনের ট্রাঙ্কে। তার মধ্যে ফেলা হয় সিমেন্ট গোলা। ফলে দেহ কংক্রিটের ‘মমি’র আকার নিয়েছিল বলে জানান তদন্তকারীরা। পাঁচ ফুটের দেহটি ট্রাঙ্কে আঁটানোর জন্য মাথা ও পা মুড়ে দেওয়া হয়।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
February 04, 2017 1:19 PM IST