#মুর্শিদাবাদ: ফের শিরোনামে সারদা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেন। পত্রবোমায় তিনি বিদ্ধ করেছেন রাজ্যের বহু রাঘববোয়ালকে। তাঁর অভিযোগ দলমত নির্বিশেষে বহু হেভিওয়েট নেতাই তাঁর থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অফিসে পাঠানো এই অভিযোগপত্রে অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধেও আঙুল তুলেছেন তিনি। এই অভিযোগের বিরুদ্ধে এবার আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলে জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।পাশাপাশি জোটকে ভয় পেয়ে তৃণমূল এইভাবে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
তাঁর মতে, চিটফান্ডের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত চলছে তা কংগ্রেসের জন্যই । এদিন মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে অধীরবাবু বলেন, "আপনার কয়েকজন পোষা উকিল রয়েছে, ওই কাকতাড়ুয়ারা আপনাকে বুঝিয়েছে ভোটের আগে অধীর চৌধুরীকে কালিমালিপ্ত' করতে এই চিঠি দেওয়ার জন্য।আমাকে কেউ কালিমালিপ্ত' করতে হবে না চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি। সততা রয়েছে বলেই মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আমি বলতে ভয় পাই না।" রাজনীতির ময়দানে দেখা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন চৌধুরী।
তাঁর আরও অভিযোগ, জোটকে ভয় পেয়ে এখন আঁতাত করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। বহরমপুরে কংগ্রেস দপ্তরে অধীর চৌধুরী বলেন, "আগামী দিন ভয়ঙ্কর আসছে এই রাজ্যের পক্ষে। আবার পাহাড়ে আগুন জ্বলবে। যার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী মামলা করল সরকার তাকেই এসকর্ট করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ভাবা যায় না। গুরুংকে সঙ্গে নিলে আগামী বিধানসভা ভোটে বেশ কয়েকটা আসন পাবে তৃণমূল সেই আশাতে গুরুং এখন কাছের লোক হয়ে গেল তৃণমূলের। "
এদিন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়েও বলেন অধীর চৌধুরী। বলেন, "দলে ভদ্রলোক থাকে না। দলটা ভেঙে খন্ড খন্ড হয়ে যাবে। বেসুরো রাজীবকে নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন। অধীর চৌধুরীর আইনজীবী তুষার মজুমদার বলেন, সংশোধনাগারের মধ্যে থেকে কোন অভিযুক্ত সরাসরি এইভাবে অভিযোগ এনে চিঠি করতে পারে না। আমরা সেই কারণে সুদীপ্ত সেন, জেলের সুপার ও রাজ্য জেল দপ্তরের সচিব কে আইনি নোটিশ দেবো।"