কার্তিক ফেলতে গিয়ে রাতভর পুলিশ লক আপে বর্ধমানের ছয় যুবক !

Last Updated:

সারা রাতের পর দুপুর পর্যন্ত আটক থেকে অবশেষে পুলিশের হাত থেকে মুক্তি পায় তারা। তাদের সঙ্গে 'আটক' থাকতে হয় কার্তিককেও।

কার্তিক ফেলতে গিয়ে রাতভর পুলিশ লক আপে বর্ধমানের ছয় যুবক !
কার্তিক ফেলতে গিয়ে রাতভর পুলিশ লক আপে বর্ধমানের ছয় যুবক !
শরদিন্দু ঘোষ, বর্ধমান: দেব সেনাপতি কার্তিককে নিয়ে যে এমন বিড়ম্বনায় পড়তে হবে তা ভেবে উঠতে পারেননি ছয় যুবক। কার্তিককে সঙ্গে নিয়েই কাটাতে হল থানায়। বার বার পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হল তাদের। সারা রাতের পর দুপুর পর্যন্ত আটক থেকে অবশেষে পুলিশের হাত থেকে মুক্তি পায় তারা। তাদের সঙ্গে 'আটক' থাকতে হয় কার্তিককেও।
রাত গভীর হতেই বর্ধমান শহরের বিভিন্ন প্রান্তের ছ’বন্ধু একজোট হয়েছিল বর্ধমান শহরের কার্জন গেটে। সেখানে কার্তিকের মেলা বসেছে। ছোট বড় নানান উচ্চতার কার্তিক বিক্রি হচ্ছে সেখানে। ওই ছয় বন্ধু একটি কার্তিক ঠাকুর কেনে। উদ্দেশ্য ছিল চুপিসারে অন্য এক বন্ধুর বাড়ির বাইরে সেই কার্তিক রেখে আসা। কিন্তু সেই কাজ করতে গিয়ে যে পুলিশের হাতে ধরা পড়তে হবে তা তাঁরা বুঝে উঠতে পারেননি।
advertisement
advertisement
কার্তিক ঠাকুর কেনার পর তারা শহরের মিঠাপুকুর এলাকায় পরিচিতের বাড়িতে যায়। উদ্দেশ্য ছিল চুপিসারে সেই বাড়ির দরজার সামনে কার্তিক রেখে আসা। সেই মতো প্রাচীর টপকাতেই তা দেখে ফেলে টহলদারি পুলিশ। তাদের পাকড়াও করে বর্ধমান থানার পুলিশ। তবে ওই যুবকদের কেউই পালানোর চেষ্টা করেনি। বরং এগিয়ে গিয়ে তাদের উদ্দেশ্য পুলিশকে বোঝানোর চেষ্টা করে। তাতে অবশ্য চিঁড়ে ভেজেনি। পুলিশ ছ’জনকেই গাড়িতে উঠতে বাধ্য করে। কার্তিককে সঙ্গে নিয়েই পুলিশ ভ্যানে ওঠে তারা। এরপর রাতভর তাদের একরকম বর্ধমান থানার লক আপে কাটাতে হয়।
advertisement
বর্ধমান-সহ রাজ্য জুড়েই 'কার্তিক ফেলা'র রীতি আছে। সন্তান কামনায় পুজোর আগের দিন নব দম্পতির বাড়িতে কার্তিক রেখে দেন শুভাকাঙ্খিরা। বেশিরভাগ মানুষই সেই কার্তিক পেয়ে পুজোর আয়োজন করেন। কার্তিক রাকার কৃতজ্ঞতা স্বরূপ সেইসব বন্ধু, আত্মীয় পরিজনদের নিমন্ত্রণ করে খাওয়ানো হয়। সেই কার্তিক দিতে গিয়ে পুলিশি ঝক্কি পোহাতে হল ছয় যুবককে। সঙ্গে কার্তিকের মূর্তি থাকা সত্ত্বেও ওই যুবকদের রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত আটকে রেখে পুলিশ বাড়াবাড়ি করেছে বলে অনেকে মনে করছেন।
advertisement
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, রাতের অন্ধকারে বাড়ির প্রাচীর টপকাচ্ছিল এক দল যুবক। তাদের যে খারাপ উদ্দেশ্য নেই তা তখন পুলিশ বুঝবে কী করে। কার্তিককে সামনে রেখে চুরি হবে না তার নিশ্চয়তা কোথায়। ভালভাবে ওই যুবকদের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়ার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
কার্তিক ফেলতে গিয়ে রাতভর পুলিশ লক আপে বর্ধমানের ছয় যুবক !
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement