রায়দিঘী: তিনি সাপ ধরেন, সাপ ধরার পর সেগুলিকে বনদফতরের সহায়তায় আবার ছেড়ে দিয়ে আসেন জঙ্গলে। দুবার সাপের ছোবল খেয়ে ভর্তি হন হাসপাতালে। কিন্তু কোনকিছুতেই সাপ ধরা থেকে বিরত করতে পারেনি তাঁকে। মূলত সাপ পরিবেশের শত্রু নয় পরিবেশের বন্ধু সমাজের সর্বস্তরে এই বার্তা পৌঁছে দিতে তিনি সাপ ধরেন এলাকায়। সাপ ধরার সময় তিনি পরেন বিশেষ এক ধরনের নীল রঙের জামা প্যান্ট। সেজন্যই তিনি এলাকায় পরিচিত নীলকন্ঠবাবু হিসাবে।
এই নীলকন্ঠবাবুর আসল নাম সুপ্রভাত দাস। ২০ বছর আগে গ্রামে সাপ মারতে দেখে সাপ বাঁচানোর উদ্যোগ নেন তিনি। তারপর থেকে তিনি সাপ ধরার কাজ শুরু করেন। ক্রমেই তিনি এলাকায় পরিচিত হন নীলকন্ঠ নামে। বর্তমানে বিভিন্ন জায়গা থেকে সাপ ধরার জন্য ফোন আসে তাঁর কাছে। কোনো যায়গায় সাপ দেখা গেলেই প্রথম খবর যায় নীলকন্ঠবাবুর কাছে। বিষধর কেউটে থেকে শুরু করে কালাচ সমস্ত রকমের সাপ ধরেন তিনি। কখনও কখনও থানা অথবা বনদফতর থেকেও সাপ ধরার জন্য ফোন যায় তাঁর কাছে। সাপ ধরার পর তিনি সেগুলিকে বনদফতরের হাতে তুলে দেন। বনদফতর সেই সাপগুলিকে সুন্দরবনের গভীর অরণ্যে ছাড়ার বন্দোবস্ত করে।
আরও পড়ুন: 'আমি মুশকিল আসান, সব সমস্যার সমাধান করে দেব', চাকরি নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী
নীলকন্ঠবাবুর সাথে যোগাযোগ করতে হলে ফোন করুন 9563907880 নম্বরে।
আরও পড়ুন: বীভৎস, পাটক্ষেতে তৃণমূল নেতার এ কী অবস্থা! মধ্যরাতে হাড়হিম হয়ে গেল তপনবাসীর
তবে নীলকন্ঠবাবু সাপ ধরে কোনো টাকা পয়সা নেননা গ্রামবাসীদের কাছ থেকে। সাপ পরিবেশের শত্রু নয় পরিবেশের বন্ধু এই বার্তা দিতে তিনি সাপ ধরেন এলাকায়। নিজের কয়েকবিঘা জমি আছে, সেখানে চাষ করেই কোনোরকমে সংসার চালান তিনি। সাপ বাঁচলে রক্ষা পাবে জীববৈচিত্র্য, রক্ষা পাবে বাস্তুতন্ত্র, সেই লক্ষেই আগামীতেও কাজ করে যেতে চান নীলকন্ঠবাবু।
নবাব মল্লিক
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।