#পাথরপ্রতিমা : সমুদ্রের করাল গ্রাসে আয়তনে কমছে গোবর্ধনপুর। প্রতি বছরেই বাঁধ ভেঙে একটু একটু করে এগিয়ে আসছে সমুদ্র। ফলে আয়তন কমছে এই দ্বীপের। দ্বীপের ভাঙন রুখতে সরকারি ভাবে একাধিক প্রয়াস গ্রহণ করা হলেও ভাঙন রোখা যাচ্ছেনা কোনোভাবেই। আর সেজন্য সর্বদা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয়রা। কয়েক হাজার বিঘা জায়গা নিয়ে বঙ্গোপসাগরের প্রান্তে প্রকৃতির আপন নিয়মে একসময় গড়ে উঠেছিল এই দ্বীপের বেলাভূমি। বর্তমানে ভাঙন জনিত সমস্যায় তা এসে ঠেকেছে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ বিঘার মধ্যে। ভাঙনের ফলে অনেকেই তাদের পুরানো বাসস্থান গোবর্ধনপুর ছেড়ে পাড়ি দিয়েছেন অন্যত্র।
সুন্দরবনের প্রত্যন্ত দ্বীপ জি প্লটের একেবারে শেষপ্রান্ত হল এই গোবর্ধনপুর। এখানের মূল সমস্যা হল বাঁধের ভাঙন। এখানের বাঁধ অন্য সমস্ত বাঁধের থেকে আলাদা। এই বাঁধে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ এসে ধাক্কা দেয় সরাসরি। ফলে বাঁধ রক্ষা করাই বড়ো চ্যালেঞ্জ এখানে।প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় কখনও কখনও ১৬ ফুটেরর বেশি ঢেউ আসে এখানে। সেসময় বাঁধ কোনোভাবেই রক্ষা করা যায়না। প্রতিবছরই সেজন্য বাঁধ সারাতে হয় এখানে। সমুদ্রের এই বিরূপ আচরণের কারণ হিসাবে অনেকেই জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রের জলের উচ্চতা দিনের পর দিন বাড়ছে, আর যার ফলে সমস্যা আরও তীব্র হচ্ছে ক্রমশ।বর্তমানে বেহাল বাঁধ সারানোর প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে সেখানে। বেশ কিছু যায়গায় বাঁধে দেওয়া হয়েছে জিও চট। তবে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ না হলে এগুলি কোনো কাজে আসবেনা বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ইরিগেশান দফতরের পক্ষ থেকে পুজোর পর কাজ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। এখন কবে এই কাজ শুরু হয় সেদিকেই তাকিয়ে গ্রামবাসীরা।
নবাব মল্লিক
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।