অনির্বাণ রায়, শিলিগুড়ি: আপনি কি কখনও হেলিকপ্টার খেয়েছেন? অবাক হবেন না । সত্যি এই হেলিকপ্টার খাওয়া যায়। এই "হেলিকপ্টার" আসলে উত্তমদার বানানো "বান মাশালা"। আলুর স্টাফিং দিয়ে বাটার দিয়ে পাউরুটি গুলোকে ভেজে, চিজ দিয়ে এই খাবার খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। শিলিগুড়ির ডন বস্কো স্কুলের সামনে, উত্তমদার এই ক্যাফে শিলিগুড়ি বিখ্যাত। স্কুলের ছাত্ররা তো বটেই, শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁর হেলিকপ্টার খেতে ভিড় করেন বহু মানুষ।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে এই স্কুলের সামনে খাওয়ার দোকান খোলেন উত্তমবাবুর বাবা বিকাশ মুহুরী। ছেলের নামেই বিকাশবাবু দোকানের নামকরণ করেছেন "উত্তম ফাস্টফুড"। আজ তাঁর দোকানের হেলিকপ্টার-সহ অনেক খাবার শহর তো বটেই, শহরের বাইরে বেঙ্গালুরু, দিল্লি পর্যন্ত গিয়েছে। প্রথমদিকে স্কুলের ছাত্ররা এসেই খেত। তার পরে এই নাম এত ছড়িয়ে পড়ে যে শিলিগুড়ির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাঁর দোকানে হেলিকপ্টার খেতে পৌঁছে যান বহু মানুষ।
এই হেলিকপ্টার নামের পেছনে রহস্য কী, জিজ্ঞাসা করলে উত্তম বলেন, " প্রথমে প্লেন বান দিতাম। তারপর তার মধ্যে যখন নতুনত্ব এনে অন্যভাবে পরিবেশন করলাম। তখন প্লেন বানকে মজার ছলে "হেলিকপ্টার বান" নাম দিয়েছিলাম । একদিন আমার এক কাস্টমারকে আমি বলেছিলাম এতদিন প্লেন (এরোপ্লেন) খেয়েছিলেন, এ বার হেলিকপ্টার খান। সেই থেকেই এই হেলিকপ্টার নামকরণ। এটি আসলে "বান মশালা"। পাউরুটির ভিতরে আলুর পুর দিয়ে, সেটাকে বাটার দিয়ে ভেজে, চিজের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। দাম মাত্র ৭০ টাকা।"
উত্তমদার দোকানের নিত্য কাস্টমার কিশোর সাহা বলেন, "আমি এই দোকানে ২০ বছর ধরে আসছি। অত্যন্ত সুস্বাদু এবং ফ্রেশ খাবার পরিবেশন করে আসছেন তাঁরা। যাঁরা এই খাবার খাননি, তাঁরা এর স্বাদ বুঝবেন না। তাই অবশ্যই একবার খেয়ে যেতে বলব সকলকে।" মনোজ আগারওয়াল বলে এক ব্যবসায়ী জানান, "আমি স্কুলে যখন পড়তাম স্কুল শেষে উত্তমদার দোকানের এই "হেলিকপ্টার" খেয়ে তার পর বাড়ি যেতাম। আজও একই রকম স্বাদ রয়ে গেছে। মাঝে মাঝে এই দোকান থেকে আমি বাড়িতেও খাবার নিয়ে যাই এবং সকলের সঙ্গে উপভোগ করি।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।