হোম /খবর /পূর্ব মেদিনীপুর /
ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করতে সমস্যায় পড়ছে কোভিডে মৃত ব্যক্তির পরিবার। 

East Medinipur News- ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করতে সমস্যায় পড়ছে কোভিডে মৃত ব্যক্তির পরিবার । 

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর

ক্ষতিপূরন পাওয়ার জন্য কোভিড জনিত মৃত্যুর শংসাপত্র, কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট সহ ৭ দফা  কাগজপত্র ব্লক অফিস ও মহকুমাশাসক অফিসে জমা দিতে গিয়ে কোভিডে মৃত আত্মীয় স্বজনকে হিমসিম খেতে হচ্ছে। 

  • Hyperlocal
  • Last Updated :
  • Share this:

সৈকত শী, তমলুক: জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা অথরিটি এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের নির্দেশে, কোভিড ১৯ এ মৃত ব্যক্তিদের নিকটাত্মীয়দের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরন প্রদান করা হচ্ছে। ক্ষতিপূরন পাওয়ার জন্য কোভিড জনিত মৃত্যুর শংসাপত্র, কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট সহ ৭ দফা কাগজপত্র ব্লক অফিস ও মহকুমাশাসক অফিসে জমা দিতে গিয়ে কোভিডে মৃত আত্মীয় স্বজনকে হিমসিম খেতে হচ্ছে (East Medinipur News)।

বিশেষ করে প্রথম দফার করোনা সংক্রমন কালে রোগীদের মরদেহকে আত্মীয় স্বজনদের হাতে তুলে না দিয়ে, কোভিড প্রটোকল মেনে সরকারিভাবে সৎকার করা হয়েছে। কবরস্থ বা দাহ করার সময় সরকারি লোকেদের হাতে কোভিড জনিত মৃত্যুর শংসাপত্র বা অন্যান্য চিকিৎসা রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয়। চন্ডীপুর, পাঁশকুড়া বা কলকাতার যেকোন কোভিড হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে, করোনায় মৃত ব্যক্তিদের আত্মীয় পরিজনদের ভূমিকা ছিল না (East Medinipur News)। এখন ক্ষতিপূরন পাওয়ার জন্য কাগজপত্র জোগাড় করতে নাজেহাল অবস্থা।

দেশপ্রান ব্লকের কাজলা গ্রামের সাধু আলি খান নামে ৭৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ১১ আগষ্ট ২০২০ সালে কোভিড ১৯ - এ আক্রান্ত হয়ে মারা যান চন্ডীপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল থেকে চন্ডীপুর কোভিড হাসপাতালে সাধু আলি খাঁনকে পাঠানো হয়েছিল। কোভিড বিধি মেনে সরকারিভাবে তাকে কবরস্থ করা হয়। তার পরিবারবর্গকে কোভিডে মৃত্যুর শংসাপত্র, কোভিড রিপোর্ট ইত্যাদি নথি পেতে হয়রানি ভোগ করতে হচ্ছে। তমলুক শহরে বছর চল্লিশের এক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। সরকারি নিয়ম অনুসারে, মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে না দিয়ে দাহ কার্য  সম্পন্ন করা হয় (East Medinipur News)। ঐ ব্যক্তির পরিবারও ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ক্ষেত্রে নথি পত্র জোগাড় করতে সমস্যায় পড়েছে।

শুধু এই দুই মৃত ব্যক্তির পরিবার নয়। এইরকম সম্যসার সম্মুখীন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে বিভিন্ন এলকার কোভিডে মৃত ব্যক্তির পরিবার (East Medinipur News)। প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন পূর্ব মেদিনীপুর স্বাস্থ্য জেলা ও নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে ইমেল বার্তা পাঠিয়ে, কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত রোগীদের করোনায় মৃত্যুর শংসাপত্র সহ অন্যান্য কাগজপত্র পাওয়ার বিধিনিয়ম সরলীকরনের আবেদন পাঠিয়েছেন।

Published by:Samarpita Banerjee
First published:

Tags: Compensation, Corona, East Medinipur, Tamluk