Kali Puja 2022|| কালীপুজোর দিন নামে ভক্তদের ঢল, সতীপীঠ বর্গভীমা মন্দিরে শক্তির আরাধনা
- Published by:Shubhagata Dey
Last Updated:
Bargabhima Temple over crowded at Kali Puja 2022: ৫১ সতী পীঠ বা শক্তিপীঠের একপীঠ দেবী বর্গভীমা মন্দিরে সকাল থেকেই মানুষের ভিড় পুজো দেওয়ার। দূরদূরান্ত থেকে মানুষজন এসে লাইন দিয়ে পুজো দিচ্ছেন মন্দিরে।
#তমলুক: আজ মঙ্গলবার কালীপুজো বা দীপান্বিতা অমাবস্যা। রাজ্যের সর্বত্রই এই দিনে প্রাচীণ কালী মন্দিরগুলিতে মানুষের ভিড় পুজো দেওয়ার। তার অন্য তা হলো না পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সদর শহর তমলুকের অধিষ্ঠাত্রী দেবী বর্গভীমা মন্দিরে। ৫১ সতীপীঠ বা শক্তিপীঠের একপীঠ দেবী বর্গভীমা মন্দিরে সকাল থেকেই মানুষের ভিড় পুজো দেওয়ার। দূর দূরান্ত থেকে মানুষজন এসে লাইন দিয়ে পুজো দিচ্ছেন মন্দিরে।
তমলুক প্রাচীন তাম্রলিপ্ত নগরীর পুরানে বর্ণিত নাম বিভাস। এই তমলুক শহরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী বর্গভীমা। ভীমা কালী রূপে পুজিত হন দেবী। ৫১ সতীপীঠের একপীঠ এই দেবী বর্গভীমা মন্দির। পুরাণে কথিত একান্ন সতীপীঠের একপীঠ তমলুকের দেবী বর্গভীমা। কথিত আছে বিষ্ণুর সুদর্শন চক্রের খন্ডিত দেবী সতীর বাম পায়ের গোড়ালি এখানে পড়েছিল।
আরও পড়ুনঃ সিত্রাংয়ের প্রভাবে তীরে আছড়ে পড়ছে ১৫ ফুট বিশাল বিশাল ঢেউ, দিঘার ছবি ভয় ধরাচ্ছে
দেবী বর্গভীমা মায়ের মন্দির নির্মাণের পেছনে আরেকটি উল্লেখযোগ্য কাহিনী বর্তমান। এই কাহিনীটি গড়ে উঠেছে চন্ডীমঙ্গল কাব্যের নায়ক ধনপতি সওদাগরকে নিয়ে। ধনপতি সওদাগর তাম্রলিপ্ত বন্দর হয়ে বাণিজ্যতরী নিয়ে সিংহল যাত্রাকালে দেখতে পান এক লোক সোনার কলসি নিয়ে যাচ্ছে। ধনপতি সওদাগর কৌতূহলবশত ওই লোককে জিজ্ঞেস করেন এই সোনার কলসি কোথায় পেয়েছে, উত্তরে সেই লোক বলেন জঙ্গলের মধ্যে একটি পবিত্র কুণ্ড আছে যেখানে পেতলের পাত্র ডোবালে সোনার পাত্র হয়ে যায়।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ ভট্টাচার্য পরিবারে বাড়ির কুলবধূ, কালীগঞ্জের মা কালী পূজিতা হন বুড়োমা রূপে
এরপর ধনপতি সওদাগর অনেক পেতলের পাত্র পবিত্র কুন্ডের জলে ডুবিয়ে সোনায় রূপান্তরিত করে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বাণিজ্যে প্রভূত লাভ হয়। ফিরে আসার সময় তাম্রলিপ্ত বন্দরে নোঙ্গর করে ঐ পবিত্র কুণ্ড ঘিরে দেবী মায়ের মূর্তি ও মন্দির নির্মাণ করেন। তমলুকের বর্গভীমা মায়ের মন্দির নির্মাণ নিয়ে নানান কাহিনী থাকলেও পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে এটি একটি সতীপীঠ হিসেবেই দেবী পুজিত হয়।
advertisement
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সদর ঐতিহাসিক তাম্রলিপ্ত বা তমলুকে কয়েক হাজার বছর ধরে শক্তি স্বরূপিণী আদ্যাশক্তি মহামায়া রূপে দেবী বর্গভীমার আরাধনা চলে আসছে। ওড়িশি স্থাপত্যের আদলে এই দেউলের উচ্চতা প্রায় ৬০ ফুট। মন্দিরের দেওয়ালে টেরাকোটার অজস্র কাজ। তার মধ্যেই মন্দিরের গর্ভগৃহে কালো পাথরে তৈরি মায়ের মূর্তি বিরাজ করছে দেবী উগ্রতারা রূপে।
advertisement
ধর্ম-অর্থ-কাম ও মোক্ষ এই চারটি বর্গ দান করেন বলেই মায়ের নাম দেবী বর্গভীমা। নীল তন্ত্র মতে মায়ের আরাধনা করা হয় এখানে। কালীপুজোর দিন রাজবেশে মাকে সাজিয়ে মহা ধুমধামে পুজো হয়। যুগ যুগ ধরে তমলুকের অধিষ্ঠাত্রীদেবী রূপে মা পুজিত হয়ে আসছেন। এদিন কালীপূজা উপলক্ষে দেবীর বিশেষ পুজোপাঠ শুরু হবে বিকেলের পর। ষোড়শ উপাচারে পূজিতা হবেন দেবী বর্গভীমা। তার আগেই মানুষের ভিড় মন্দিরে পুজো দেওয়ার।
advertisement
Saikat Shee
view commentsLocation :
First Published :
October 24, 2022 7:44 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব মেদিনীপুর/
Kali Puja 2022|| কালীপুজোর দিন নামে ভক্তদের ঢল, সতীপীঠ বর্গভীমা মন্দিরে শক্তির আরাধনা