মৎস্যজীবীদের বাড়ি নির্মাণে আপত্তি, কিন্তু অবৈধভাবে গড়ে উঠছে হোটেল ও রিসর্ট।

Last Updated:

সম্প্রতি ইয়াসে সর্বস্বান্ত হয়েছেন উপকূলের বহু মৎস্যজীবী। সি আর জেড -এর বিজ্ঞপ্তি থাকা সত্বেও তারা বঞ্চিত সরকারি আবাসনের পাকা বাড়ি থেকে।

#পূর্ব মেদিনীপুর: উপকূলবর্তী অঞ্চলে তৈরী হচ্ছে যথেচ্ছ হোটেল ও রিসর্ট। কিন্তু সি আর জেড এর ছাড়পত্র থাকা সত্ত্বেও সরকারি প্রকল্পের আবাসনের কাজে বাধা। বাড়ি না পেয়ে ফি বছর ঝড়ে বাসা হারাতে হয় উপকূলবর্তী মৎস্যজীবীদের।
কোস্টাল রেগুলেশন জোন বিজ্ঞপ্তিতে মৎস্যজীবীদের বাড়ি নির্মাণে ছাড় রয়েছে। তা সত্ত্বেও রামনগর - দু নম্বরব্লকে কালিন্দী গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচটি মৌজার মৎস্যজীবীদের জন্য সরকারি প্রকল্পের আবাসন নির্মাণ কাজ বন্ধ আছে। কোস্টাল রেগুলেশন জুন এর বিধি নিষেধ দেখিয়ে বঞ্চিত করা হচ্ছে মৎস্যজীবীদের। অথচ সরকারি সি আর জেড এর বিধি নিষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সম্পূর্ন বেআইনি ভাবে প্রায় ১০০ টি হোটেল ও রিসর্ট।
advertisement
সম্প্রতি ইয়াসে সর্বস্বান্ত হয়েছেন উপকূলের বহু মৎস্যজীবী। সি আর জেড -এর বিজ্ঞপ্তি থাকা সত্বেও তারা বঞ্চিত সরকারি আবাসনের পাকা বাড়ি থেকে। ইয়াছে ভেসে গেছে সবকিছু। ভেঙে গিয়েছে কাঁচা বাড়ি। তাই এবার দ্রুত সরকারি আবাসনের বাড়ির সমস্যা সমাধানের জন্য জেলাশাসকের দারস্থ হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মৎস্যজীবী ফোরাম।
advertisement
মৎস্যজীবী ফোরামেরঅভিযোগ, রামনগর ২ ব্লকে কালিন্দী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুর, সিমলাপুর, মন্দারমণি, দাদনপাত্র বাড় ও সোনামুই মৌজায় বারবার কোস্টাল রেগুলেশন জোন - এর জুজু দেখিয়ে তাদের দীর্ঘদিন বঞ্চিত করা হয়েছে। ইয়াসে সব খোয়ানোর পর সরকারি আবাসনের বাড়ি পাওয়ার জোরালো দাবিতুলেছেন ফোরামের সদস্যরা। সম্প্রতি জেলা শাসকের কাছে এই নিয়ে একটি স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন তারা।
advertisement
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মৎস্যজীবী ফোরামের সভাপতি দেবাশীষ শ্যামল বলেন, " কোস্টাল রেগুলেশন জোনের বিধি নিষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সম্পূর্ন বেআইনে ভাবে গড়ে উঠেছে ৮০ থেকে ৯০ টি হোটেল ও রিসর্ট। অথচ সি আর জেড - এর বিজ্ঞপ্তি থাকা সত্ত্বেও সরকারি আবাসন প্রকল্পে ঘর পাচ্ছে না মৎস্যজীবীরা। প্রায় ৫০০ মৎস্যজীবী পরিবার বঞ্চিত সরকারি আবাসন প্রকল্প থেকে। ঘূর্ণিঝড়ে দুর্গত মৎস্যজীবীরা বাড়ি নির্মাণের সরকারি অনুমতি দেয়া হচ্ছে না সময় মতো। তাই আমরা জেলাশাসকের হস্তক্ষেপ দাবি করছি।"
advertisement
মৎস্যজীবী ফোরাম শুধু জেলাশাসক কে নয়, স্মারকলিপি পাঠিয়েছে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের সভাপতি ও কার্যনির্বাহী আধিকারিকের কাছে। প্রতিলিপি জমা দেয়া হয়েছে রামনগর - দু নম্বরব্লকের বিডিওর কাছে।
Saikat Shee
বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব মেদিনীপুর/
মৎস্যজীবীদের বাড়ি নির্মাণে আপত্তি, কিন্তু অবৈধভাবে গড়ে উঠছে হোটেল ও রিসর্ট।
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement