Crime News: প্রেমে শুরু, আত্মহত্যায় শেষ! জামালপুরে যুবকের পরিণতিতে প্রেমিকার কী ভয়ঙ্কর রূপ

Last Updated:

প্রেমিককে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে প্রেমিকা-সহ তাঁর বাবা-মা ও দাদার ঠাঁই হল শ্রীঘরে।

প্রেমে শুরু, আত্মহত্যায় শেষ! (প্রতীকী ছবি)
প্রেমে শুরু, আত্মহত্যায় শেষ! (প্রতীকী ছবি)
#পূর্ব বর্ধমান: প্রেমিককে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে প্রেমিকা সহ তাঁর বাবা-মা ও দাদার ঠাঁই হল শ্রীঘরে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার কেওটারা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত প্রেমিকার নাম সুপর্ণা চট্টোপাধ্যায় ওরফে ফুলু।
অপর ধৃতরা হল প্রেমিকার বাবা তাপস চট্টোপাধ্যায়, মা পম্পা চট্টোপাধ্যায় ও দাদা তারকনাথ চট্টোপাধ্যায়। আত্মঘাতী প্রেমিক রাহুল ঘোষের বাবা প্রশান্ত ঘোষের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতেই জামালপুর থানার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ চার ধৃতকেই রবিবার পেশ করে বর্ধমান আদালতে। বিচারক প্রেমিকাকে তিন দিনের পুলিশি হেফাজত ও বাকি ধৃতদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
advertisement
আরও পড়ুন: ধান পাকার মুখে শোষক পোকার আক্রমণ, মাথায় হাত রাজ্যের শস্য ভান্ডারের কৃষকদের 
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জামলপুর থানার আবুজহাটি এক গ্রাম পঞ্চায়েতের কেওটারা গ্রামে বাড়ি রাহুল ঘোষের (২২)। একই গ্রামের বাসিন্দা বছর ১৯ এর তরুণী সুপর্ণা চট্টোপাধ্যায়। রাহুল স্থানীয় পঞ্চায়েতের অধীনে ভেক্টর কন্ট্রোল টিম (VCT) এর কর্মী ছিলেন। সুপর্ণা উচ্চমাধ্যমিকের পাঠরতা অবস্থায় লেখা পড়ায় ইতি টানে। মৃতের পরিবার পরিজন ও এলাকাবাসীর দাবি, রাহুল ও সুপর্ণার মধ্যে প্রণয় সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। রাহুল গভীর ভাবে ভালবেশে ফেলেছিল সুপর্ণাকে। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে সুপর্ণা আর সম্পর্ক রাখতে চাইত না রাহুলের সঙ্গে। তা নিয়ে রাহুল মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে। মনকষ্টে সে শুক্রবার কীটনাশক খেয়ে নেয়। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চললেও শেষ রক্ষা হয়নি। রাহুলের মৃত্যু হয় হাসপাতালে।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: গরু পাচার কাণ্ডে এবার বিরাট পদক্ষেপ সিবিআইয়ের, তলবের তালিকায় দারুণ চমক!
রাহুলের মৃত্যুর খবর তাঁর বাড়িতে ও পরিজনের কাছে পৌছতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সুপর্ণা ও তাঁর পরিবারের লোকজন রাহুলকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলে স্বোচ্চার হন মৃতের পরিবার পরিজনরা। রাতে মৃত যুবকের পরিবারের রোষ আছড়ে পড়ে সুপর্ণাদের বাড়িতে। সেই খবর পেয়েই জামালপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
advertisement
পরে মৃত যুবক রাহুলের বাবা প্রশান্ত ঘোষ পুলিশের কাছে সুপর্ণা ও তার পরিবার সদস্যদের বিরুদ্ধে ছেলেকে অত্মহতায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ রাহুলের প্রেমিকা সুপর্ণা এবং তাঁর বাবা-মা ও দাদাকে গ্রেফতার করে। যদিও রাহুলকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা বলে এদিন দাবি করেছেন সুপর্ণার দাদা তারকনাথ চট্টোপাধ্যায় ও বাবা তপস চট্টোপাধ্যায়।
advertisement
মালবিকা বিশ্বাস
বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব বর্ধমান/
Crime News: প্রেমে শুরু, আত্মহত্যায় শেষ! জামালপুরে যুবকের পরিণতিতে প্রেমিকার কী ভয়ঙ্কর রূপ
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement