#পূর্ব বর্ধমান : মাছও ধরিব, আমি খাইবো সুখে, এটি একটি বহুল জনপ্রিয় ছড়া। মাছ তাঁরাও ধরেন তবে সুখে খাওয়ার দিন বোধয় চলে গিয়েছে। আজও তাঁরা প্রতিদিন মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে সকাল হলেই চলে আসেন দামোদরে। জীবিকা অন্বেষণের উদ্দেশ্যে। দামোদরে এসে প্রতিদিন যেটুকু মাছ ধরেন তা বাজারে বিক্রি করেই চলে সংসার। আগে সুখের দিন ছিল । প্রতিদিন গড়ে হয়ত মাছ পেতেন ৫০ থেকে ৬০ কেজি। তবে আজ আর তত পরিমাণ মাছ মেলে না।
তবে পেশার প্রতি ভালবাসা রেখে পুরনো ছড়াকে আগলে রেখে তারা আজও মাছ ধরে চলেন দামোদরের মানা গৌতমপুর এলাকায় । অনেকের কাছে সরকারি লাইসেন্স আছে আবার অনেকের কাছেই হয়ত নেই, তবে তার পরও মাছ ধরেই জীবিকা নির্বাহ করছেন বেশ কিছু মৎসজীবী । বোয়াল, চিংড়ি, রুই, কাতলা এছাড়াও অনেক মাছ পাওয়া যায় এই দামোদরে । এগুলো মৎস্যজীবীরা বিক্রি করেন আরতে।
আরও পড়ুন: জঙ্গলের ধারে বন্ধুদের সঙ্গে সেলফি তুলছিল ছাত্র! হঠাৎ ঘটে গেল ভয়াবহ ঘটনা! কল্পনার বাইরে!
মৎস্যজীবীরা বলেন, জীবনে ঝুঁকি নিয়েই মাছ ধরতে আসেন তারা প্রতিদিন । আর প্রতিদিনই যে একই রকম মাছ পাওয়া যায়, তাও নয় । কখনও ১০ কেজি কখনও কুড়ি কেজি তো কখনও ৩০ কেজি মাছ ওঠে। আগে অনেক বেশি মাছ আসত এই দামোদর থেকে। বিক্রি করে ভালই লাভের মুখ দেখতেন তাঁরা। তবে এখন মাছ বিক্রি করে সেভাবে লাভ হয় না। সংসার চালানোর তাগিদে তাই জীবনে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিনই আসতে হয় এই দামোদরে ।Malobika Biswasনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bardhaman news, Fish