রান্নাঘরের নীচেই মিলল গুপ্তধনের সন্ধান! ভাগ্যের ফেরে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেল এক পরিবার

Last Updated:

ব্রিটিশ সংবাদপত্র 'দ্য সান'-এর তরফে জানানো হয়েছে যে, ওই পরিবার যে বাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরে বাস করতেন, সেই বাড়ির রান্নাঘরের নিচেই লুকোনো ছিল ২৬৪টি স্বর্ণ মুদ্রা। যার বাজার দর প্রায় ৭ লক্ষ ৫৪ হাজার পাউন্ড। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ৬ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা।

রান্নাঘরের নীচেই মিলল গুপ্তধনের সন্ধান! ভাগ্যের ফেরে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেল এক পরিবার
রান্নাঘরের নীচেই মিলল গুপ্তধনের সন্ধান! ভাগ্যের ফেরে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেল এক পরিবার
লন্ডন: ভাগ্যের চাকা সব সময়ই ঘুরে চলেছে। তাই কে বলতে পারে, কখন কার ভাগ্য বদলে যেতে পারে! এখন যিনি নির্ধন, পরে তিনিই হয়তো ভাগ্যের ফেরে ধনী হয়ে উঠতেই পারেন! কখনও অনেকেই এক ঝটকায় প্রচুর টাকা পেয়ে যান। ঠিক যেমনটা হয়েছে ব্রিটেনের এলর্বরি গ্রামে। এ-ভাবেই সেখানকার এক পরিবার রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গিয়েছে। আসলে তাঁদের বাড়িতেই লুকিয়ে ছিল সোনার গুপ্তধন। আর এ-যেন মেঘ না-চাইতেই জল।!
ব্রিটিশ সংবাদপত্র 'দ্য সান'-এর তরফে জানানো হয়েছে যে, ওই পরিবার যে বাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরে বাস করতেন, সেই বাড়ির রান্নাঘরের নিচেই লুকোনো ছিল ২৬৪টি স্বর্ণ মুদ্রা। যার বাজার দর প্রায় ৭ লক্ষ ৫৪ হাজার পাউন্ড। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ৬ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা।
মাটির পাত্র ভরা সোনার মুদ্রায়:
advertisement
advertisement
স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই পরিবারটি যে বাড়িটিতে বসবাস করছিল, সেটি প্রায় ১৮ শতকে তৈরি হয়েছিল। বিগত ১০ বছর ধরে ওই পরিবারটি এই প্রাচীন বাড়িটিতে বসবাস করছিল। প্রথমে ওই পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিলেন যে, বাড়ির কংক্রিটের নীচে একটি ছয় ইঞ্চি বিদ্যুতের তার খুলে গিয়েছে। কিন্তু মেঝের উপর থেকে যে-ই ওই তারটা তুলে নেন পরিবারের সদস্যরা, তখনই বেরিয়ে আসে একটি মাটির পাত্রে ভরা একরাশি স্বর্ণ মুদ্রা। পাত্রটির আকার ছিল প্রায় একটি কোকের বোতলের মতোই।
advertisement
শত শত বছরের প্রাচীন মুদ্রা:
ওই বাড়িতে বসবাসকারী পরিবারটির সদস্যরা কাছে গিয়ে দেখেন, সবকটিই স্বর্ণ মুদ্রা। জানা গিয়েছে, এই মুদ্রাগুলি ১৬১০ সাল থেকে ১৭২৭ সাল পর্যন্ত চালু ছিল। এর পর ওই পরিবারটির তরফে লন্ডনের নিলামকারী স্পিঙ্ক অ্যান্ড সন-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং সেখানকার এক জন বিশেষজ্ঞ মুদ্রাগুলির মূল্যায়ন করতে ওই বাড়িটিতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে জানা যায় যে, এই মুদ্রাগুলি ফার্নলে-মেস্টরসের এক জন ধনী এবং প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর ছিল।
advertisement
এই সোনা কোথা থেকে এল ?
মেস্টর পরিবার লোহা আকরিক, কাঠ এবং কয়লার আমদানি এবং রফতানি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল। ওই পরিবারের পরবর্তী প্রজন্ম আবার ১৭০০ শতকের গোড়ার দিকে হুইগ রাজনীতিবিদ এবং সংসদের সদস্য হিসেবে কাজ করেছে। জোসেফ ফার্নলে এবং তাঁর স্ত্রী সারা মেস্টরের জীবদ্দশায় ওই মুদ্রাগুলি তৈরি করা হয়েছিল। এর পর ১৭২৫ সালে মৃত্যু হয় ফার্নলের। তিনি মারা যাওয়ার পরে তাঁর স্ত্রী বাকি জীবনটুকু এলর্বরি গ্রামেই কাটিয়ে দিয়েছিলেন। অবশেষে ১৭৪৫ সালে ৮০ বছর বয়সে মারা যান তিনি।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
রান্নাঘরের নীচেই মিলল গুপ্তধনের সন্ধান! ভাগ্যের ফেরে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেল এক পরিবার
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement