‘এই নরক থেকে মুক্তি পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত’; ছেলের বলা শেষ কথা মনে করে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন শুভমের বাবা
- Published by:Siddhartha Sarkar
- local18
Last Updated:
এই সুন্দর জীবনের প্রতিই কখনও কখনও যেন মানুষের মোহ ভেঙে যায়। আর তখন তাঁদের বাঁচার ইচ্ছাটাও চলে যায়। ফলে তাঁদের কাছে জীবনটা যেন মূল্যহীন হয়ে যায়। কিন্তু কেন এমনটা হয়, সেই উত্তর পাওয়া মুশকিল! কিন্তু উত্তরপ্রদেশের বালিয়া শহরের কোতওয়ালি মহাবীর ঘাটের বাসিন্দা শুভমের ক্ষেত্রে কেন এমনটা ঘটল, সেটাই জেনে নেওয়া যাক।
সনন্দন উপাধ্যায়, বালিয়া, উত্তর প্রদেশ: অন্যদেরকে কতটা মূল্য দেওয়া হচ্ছে, তার মধ্যেই জীবনের সত্যিকারের সৌন্দর্য নিহিত রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে যে, অন্যকে সাহায্য করে অতিবাহিত করা জীবন কিন্তু একাকী কাটানো জীবনের তুলনায় অনেকটাই মূল্যবান। অর্থাৎ অন্যদের প্রতি খেয়াল রাখা এবং তাঁদের সাহায্য করার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে আমাদের জীবনের সৌন্দর্য। আমরা অন্যদের প্রতি যত পরিমাণ ভালবাসা ছড়িয়ে দিতে পারব, তাতে আমাদের জীবনও তত বেশি সুন্দর হবে। জীবন হল অনেকটা গাছের মতো।
অথচ এই সুন্দর জীবনের প্রতিই কখনও কখনও যেন মানুষের মোহ ভেঙে যায়। আর তখন তাঁদের বাঁচার ইচ্ছাটাও চলে যায়। ফলে তাঁদের কাছে জীবনটা যেন মূল্যহীন হয়ে যায়। কিন্তু কেন এমনটা হয়, সেই উত্তর পাওয়া মুশকিল! কিন্তু উত্তরপ্রদেশের বালিয়া শহরের কোতওয়ালি মহাবীর ঘাটের বাসিন্দা শুভমের ক্ষেত্রে কেন এমনটা ঘটল, সেটাই জেনে নেওয়া যাক।
advertisement
advertisement
শুভম আসলে রৌনিয়ার পুরসভায় পাম্প অপারেটর হিসেবে চুক্তিতে কাজ করতেন। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন তিনি। অথচ চাকরি খোওয়ানোর আশঙ্কায় নিজের জীবনটাই শেষ করে দিয়েছেন ওই তরুণ। বৃদ্ধ মা-বাবার সামনে যখন জ্বলজ্যান্ত তরতাজা সন্তানের প্রাণ চলে যায়, তখন তাঁদের উপর দিয়ে কী ঝড় বয়ে যায়, সেটা আর আলাদা করে বলে দিতে হয় না। বৃদ্ধ বয়সে মা-বাবার জীবনের মূল অবলম্বনই ছিলেন শুভম, অথচ তিনিই আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন।
advertisement
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তিন সন্তানের মধ্যে বড় ছিলেন শুভম। পুরসভায় কর্মসংস্থানের ঘাটতির জেরে কিছু সময় ধরে বেশ উদ্বিগ্নই ছিলেন তিনি। যার জেরে গুরুতর পদক্ষেপ করতেও দু’বার ভাবেননি তিনি। এইসব ঘটনার খারাপ প্রভাব সমাজের উপর পড়ছে। এমনকী, শুভমের আত্মহত্যার পিছনে অবশ্য আরও একটা কারণ রয়েছে। প্রায় সাত মাস ধরে পুরসভা থেকে বেতন পাননি তিনি।
advertisement
এই ঘটনার পরেই ওই পুরসভার কাজকর্মের ধরন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের প্রশ্ন, কেন কোনও নোটিস কিংবা কারণ ছাড়াই কর্মচারীদের ছাঁটাই করা হচ্ছে, কিংবা তাঁরা দিনের পর দিন ধরে বেতনই বা পাচ্ছেন না কেন?
Location :
Ballia,Uttar Pradesh
First Published :
February 01, 2024 9:13 AM IST
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
‘এই নরক থেকে মুক্তি পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত’; ছেলের বলা শেষ কথা মনে করে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন শুভমের বাবা