আগামিকাল একে সূর্যগ্রহণ, তায় শনি জয়ন্তী! সাড়ে সাতি দশা কাটানোর এই মহা সুযোগ

Last Updated:

কথিত আছে, শনি জয়ন্তীর দিনেই জন্ম নিয়েছিলেন শনিদেব । জৈষ্ঠ্য মাসের অমাবস্যা তিথিতে তাঁর জন্ম । ১৪৮ বছর পর সূর্যগ্রহণের দিনই পড়েছে শনি জয়ন্তী ।

#কলকাতা: বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন ছিল এ বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ । এ বার শনি জয়ন্তীর দিনই পড়েছে বছরের প্রথম ‘রিং অব ফায়ার’ সূর্যগ্রহণ । আবার ওই দিনই বট সাবিত্রী ব্রত । জ্যোতিষ বিজ্ঞান মতে বিরল এিটি মহেন্দ্রযোগের সৃষ্টি হতে চলেছে আগামিকাল, ১০ জুন । ১৪৮ বছর পর সূর্যগ্রহণের দিনই পড়েছে শনি জয়ন্তী । ১০ জুন দুপুর ১টা বেজে ৪২ মিনিট থেকে সন্ধে ৬টা ৪১ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হবে এই এই গ্রহণ কাল। আমেরিকার উত্তর ভাগ, রাশিয়া, গ্রিনল্যান্ড, উত্তর কানাডা, ইউরোপ, উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকা এবং এশিয়া থেকে আংশিক ভাবে দেখা যাবে। ভারত থেকেও আংশিক গ্রহণ দেখা যাবে। ভারতের অরুণাচল প্রদেশ এবং লাদাখের কিছু অংশ থেকে এই গ্রহণ দেখা যাবে । এই সূর্যগ্রহণ পূর্ণগ্রাস না হলেও রিং অব ফায়ার গ্রহণ হবে এটি । অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে চাঁদের ছায়া সূর্যের উপর পড়ে প্রায় ৯৯ শতাংশই ঢেকে দেবে । ফলে হিরের আংটির মতো দেখাবে সূর্যকে ।
বর্তমানে নিজের পিতা সূর্যের কারণে স্বরাশি মকরে বক্রিদশায় রয়েছে শনি। শনিদেব সূর্যের পুত্র হলেও বাবা ও ছেলের মধ্যে সম্পর্ক ভাল ছিল না । ছেলের গায়ের রং নিকষ কালো হওয়ায় শনির মাতা দেবী ছায়ার সতীত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সূর্যদেব । রাগে ক্রব্ধ হয়ে শনিদেব সূর্যকে অগ্নিদৃষ্টিতে পুড়ে কালো করে দেন । সে সময় শিব এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন ও শনিদেবকে কর্মফলদাতা হওয়ার ক্ষমতা প্রদান করেন । কথিত আছে, শনি জয়ন্তীর দিনেই জন্ম নিয়েছিলেন শনিদেব । জৈষ্ঠ্য মাসের অমাবস্যা তিথিতে তাঁর জন্ম । জ্যোতিষ অনুযায়ী আংশিক সূর্য গ্রহণ হওয়ার কারণে ভারতে এর সূতক কালও মান্য হবে না । বৃষ রাশি ও মৃগশিরা নক্ষত্রে এই গ্রহণ লাগতে চলেছে। মৃগশির নক্ষত্রের অধিপতি মঙ্গল এবং এ সময় মকর রাশিতে বক্রি শনির পূর্ণ দৃষ্টি পড়ছে মীন এবং কর্কটে বিরাজমান মঙ্গলের ওপর। এর পাশাপাশি মঙ্গলের দৃষ্টি রয়েছে বৃহস্পতির ওপর। এ সময় আবার সূর্য, চন্দ্র, রাহু এবং বুধের যুতিও রয়েছে।
advertisement
বর্তমানে শনির সাড়েসাতি চলছে ধনু, মকর এবং কুম্ভ রাশিতে। আবার বক্রিদশা বিচরণ করছেন শনি। আবার শনির আড়াইয়ের প্রভাব রয়েছে মিথুন ও তুলা রাশির ওপরে। এই পরিস্থিতিতে গ্রহণের সময় শনি চালিসা পাঠ করা উচিত। আবার গ্রহণের পর দরিদ্রদের খাবার ও বস্ত্র দান করলে শনির অশুভ প্রভাব কম করা যেতে পারে। এই দিনে শনিদেবের সঙ্গে জড়িত বস্তু দান করা ভাল। যেমন, সর্ষের তেল, কালো অড়হর ডাল, কালো তিল ইত্যাদি। তা হলে শনিদেবের কৃপা পাওয়া যায় ।
advertisement
advertisement
ধর্মীয় ধারণা অনুযায়ী বজরংবলীর ভক্তদের ওপর শনি অশুভ দৃষ্টি ফেলে না। তাই যাঁদের ওপর শনির সাড়েসাতি, আড়াই, মহাদশা বা অশুভ প্রভাব রয়েছে, তাঁদের বজরংবলীর আরাধনা করা উচিত।
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
আগামিকাল একে সূর্যগ্রহণ, তায় শনি জয়ন্তী! সাড়ে সাতি দশা কাটানোর এই মহা সুযোগ
Next Article
advertisement
IND vs PAK: সূর্যকুমার যাদবের কথা শুনে রীতিমতো অপমানিত ! খারাপ লাগা ঝরে পড়ছে প্রতি শব্দে শোয়েব আখতারের ভাইরাল ভিডিওয়
সূর্যকুমার যাদবের কথা শুনে রীতিমতো অপমানিত! খারাপ লাগা ঝরে পড়ছে প্রতি শব্দে শোয়েব আখতারের
  • সূর্যকুমার যাদবের কথা শুনে রীতিমতো অপমানিত !

  • খারাপ লাগা ঝরে পড়ছে প্রতি শব্দে শোয়েব আখতারের

  • দেখুন ভাইরাল ভিডিও

VIEW MORE
advertisement
advertisement