বড়দিনের উপহারেই বেরিয়ে এল ধামাচাপা দিয়ে রাখা কঠোর সত্য! জানলে চোখ কপালে উঠে যাবে
- Published by:Sayani Rana
- trending desk
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
আসলে এক ব্যক্তি নিজের বাবাকে এমন উপহার দিয়েছেন, যার জেরে তাঁদের পরিবারই ভাঙতে বসেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সন্তান নিজের বাবার পরিচয় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে শুরু করেছে।
জন্মদিন কিংবা বিশেষ অনুষ্ঠানে আমরা প্রিয়জনকে উপহার দিয়ে থাকি। আর উপহার কে না পছন্দ করেন! অর্থাৎ উপহার পেলে মনটা আনন্দে ভরে যায়। তবে কিছু উপহার রয়েছে, যা মনটাকে বিষাদে ভরিয়ে দিতে পারে। সম্প্রতি এমনই এক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।
আসলে এক ব্যক্তি নিজের বাবাকে এমন উপহার দিয়েছেন, যার জেরে তাঁদের পরিবারই ভাঙতে বসেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সন্তান নিজের বাবার পরিচয় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে শুরু করেছে। কিন্তু উপহারে এমন কী রয়েছে, যা হইচই ফেলে দিয়েছে? আসলে ওই উপহার চল্লিশ বছর ধরে চাপা দেওয়া সত্য উদঘাটন করেছে।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্রের ছবি তুললেই পরীক্ষা বাতিল, নিরাপত্তা বজায় রাখতে বিরাট পদক্ষেপ পর্ষদের
advertisement
advertisement
একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এই তথ্য ভাগ করে নিয়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, নিজের পূর্বপুরুষদের বিষয়ে জানার কৌতূহল তৈরি হয়েছিল। মা-বাবার কাছে শুনেছিলেন যে, তাঁর পূর্বসূরিরা আদতে ইউরোপীয়। মায়ের দিক থেকে ইংলিশ এবং আইরিশ আর বাবার দিক থেকে জার্মান। তবে ওই ব্যক্তির ঠাকুরমা-ঠাকুর্দা তাঁর জন্মের আগে কিংবা তাঁর শিশু অবস্থাতেই মারা গিয়েছেন। ফলে পূর্বসূরিদের বিষয়ে বিশেষ কিছু জানতেন না।
advertisement
আরও পড়ুন: জিমে ঘাম ঝরালেও কমছে না ওজন? সঠিক নিয়ম মেনে পালং শাক খেলেই ঝরবে মেদ! জেনে নিন ডায়েটিশিয়ানের থেকে
ওই ব্যক্তির যখন ১৭ বছর বয়স, তখন তাঁর মায়ের অ্যালজাইমার্স ধরা পড়ে। অবশেষে ২০১৭ মৃত্যু হয় মায়ের। তবে মা-বাবা দুজনের চোখ ছিল নীল, অথচ ওই ব্যক্তির চোখের রঙ ছিল বাদামী। বিজ্ঞান বলছে, চোখের রঙ আলাদা হতেই পারে। সেই কারণে নিজের পরিবারের ইতিহাস জানার চিন্তা তাঁর মাথায় চেপে বসে। ফলে একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে দু’টি ডিএনএ কিট কিনে আনেন তিনি। বড়দিনে একটি বাবাকে উপহার দেন, আর অন্যটি নিজের জন্য রেখে দেন। দু’জনেই ডিএনএ পরীক্ষা করান এবং রিপোর্ট দেখে রীতিমতো তাঁদের পায়ের তলার জমি সরে যায়।
advertisement
কিন্তু এমনটা হওয়ার কারণ কী? আসলে ডিএনএ রিপোর্টে জানা যায় যে, ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর বাবার ডিএনএ-র মিল নেই। এমনকী আগের চার প্রজন্মের সঙ্গে ওই ব্যক্তির ডিএনএ-র কোনও মিলই নেই। এটা দেখে তিনি রীতিমতো কাঁদতে শুরু করেন। বাবাকে ডেকে দেখালেও তিনি বিশ্বাস করতে চাননি। নিজের বায়োলজিক্যাল বাবার প্রতিও সন্দেহ হয় ওই যুবকের। তবে চল্লিশ বছর পরে যে কঠোর সত্য সামনে আসুক না কেন, ওই যুবক জানান, তিনি নিজের মা-বাবাকে খুবই ভালবাসেন। আর এই বাবাকেই সব সময় নিজের বাবা বলে মানবেন।
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
January 31, 2024 11:35 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
বড়দিনের উপহারেই বেরিয়ে এল ধামাচাপা দিয়ে রাখা কঠোর সত্য! জানলে চোখ কপালে উঠে যাবে
