কলকাতা: বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে বুদ্ধ পূর্ণিমা উৎসব পালিত হয়। ভারতীয় হিন্দু ধর্মে পূর্ণিমা তিথিকে গঙ্গাস্নান ও দানের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হয়। যে কোনও পূর্ণিমার থেকে অবশ্য বেশ খানিকটা আলাদা বুদ্ধ পূর্ণিমা। এই দিনের নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে মনে করা হয়, এই দিনে গঙ্গাস্নান করলে সকল প্রকার পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এমনকী এই বিশেষ পুণ্য তিথিতে গঙ্গায় স্নান করতে পারলে পিতৃদোষও খণ্ডণ করা সম্ভব হয়।
২০২৩ সালে এই বিশেষ তিথি পড়েছে ইংরিজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আগামী ৫ মে। ওই দিনই পালিত হবে বুদ্ধ পূর্ণিমা। ওই একই দিনে এবছর রয়েছে চন্দ্রগ্রহণের যোগও।
কাশীর পণ্ডিত ও জ্যোতিষী স্বামী কানহাইয়া মহারাজ জানান, যেকোনও এলাকায় গঙ্গাস্নান করলেই পুণ্য হয়। তবে বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে বারাণসী, প্রয়াগরাজ ও হরিদ্বারে গঙ্গা স্নানের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই দিনে সারা দেশ থেকে মানুষ এই তিনটি ধর্মীয় স্থানে এসে গঙ্গায় স্নান করেন পুণ্য লাভের আশায়। এই দিনে বারাণসীর সমস্ত ঘাটেই ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে।
আরও পড়ুন: সন্তানের জন্ম দিতে পারে এই পাথর! জীবের মতো করে চলাফেরা, আশ্চর্য শিলার ঘটনা জানুন
তিনবার ডুব দেওয়ার পুণ্য—
জ্যোতিষাচার্যের মতে, গঙ্গাস্নানে পুণ্য তো রয়েছেই। তবে এই দিনে প্রত্যেকেরই গঙ্গায় তিনটি ডুব দেওয়া উচিত। সকাল সকাল স্নান সেরে নেওয়াই ভাল। সেই সঙ্গে গঙ্গার জল ভগবান সূর্যকে জল নিবেদন করে তাঁর আশীর্বাদ নিতে হবে। এছাড়াও এই দিনে অভাবী মানুষকে দান করা শুভ বলে মনে করা হয়, এতে দানীর জীবনে সমৃদ্ধি আসে।
তবে সকলেই যে ওই বিশেষ দিনে গঙ্গাস্নান করতে পারবেন, এমন নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে কিছু বিশেষ কাজ করলেও প্রায় একই রকম পুণ্যফল পাওয়া যেতে পারে।
ওই দিনে যে ব্যক্তি গঙ্গাস্নানের জন্য হরিদ্বার, বারাণসী এবং প্রয়াগরাজ বা অন্য ধর্মীয় শহরে যেতে পারবেন না, তাঁরা বাড়িতে সাধারণ স্নানের জলে কয়েক ফোঁটা গঙ্গা জল যোগ করে নিতে পারেন। এতেও গঙ্গাস্নানের সমান পুণ্য পেতে পারেন। তবে বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে দান করতেই হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Buddha Purnima, Buddha Purnima 2023, Offbeat