Knowledge Story: সন্তানের জন্ম দিতে পারে এই পাথর! জীবের মতো করে চলাফেরা, আশ্চর্য শিলার ঘটনা জানুন
- Published by:Anulekha Kar
- news18 bangla
Last Updated:
সন্তানের জন্ম দিতে পারে এই পাথর! জীবের মতো করে চলাফেরা, আশ্চর্য শিলার ঘটনা জানুন
রোমানিয়ার একটি ছোট শহর কোস্টেস্টিতে পাওয়া যায় এই বিশেষ পাথর। এই পাথর নাকি নিজেরাই নতুন পাথর তৈরি করতে পারে! অর্থাৎ সন্তানের জন্ম দিতে পারে এই পাথর। আবার কখনও কখনও এরা স্থান পরিবর্তন করতে পারে বলেও মনে করা হয়। এই ঘটনা সত্যি বলেই মনে করেন বিজ্ঞানিরা। এই বিশেষ পাথরের নাম ট্রোভ্যান্টস।
advertisement
এই পাথরগুলি ডাইনোসরের ডিম, জীবাশ্ম বা কোনও অলৌকিক পাথর বলে মনে করেন বহু মানুষ । অবশ্য বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে ট্রোভান্টস হল এক ধরনের পাথর যাতে,চুনাপাথর, বেলেপাথর ও অন্যান্য খনিজ রয়েছে। ট্রোভ্যান্টস সাধারণত নুড়ি, পাতা, হাড় বা জীবাশ্ম চারপাশে জড়ো হওয়া আদ্র খনিজ থেকে গঠিত হয়।
advertisement
বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে এই অদ্ভুত পাথরগুলি মানুষের জন্মের বহু বছর আগে সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ৫.৩ মিলিয়ন বছর আগে সৃষ্টি হয়েছে ট্রোভ্যান্টস। ভূমিকম্পের ফলে এই পাথরগুলি স্থানান্তরিত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এই অঞ্চলটি প্রাচীনকালে একটি সমুদ্র ছিল বলে জানা যায়।
advertisement
ট্রভেন্টস সম্পর্কে আরেকটি অদ্ভুত বিষয় হল এই পাথর একটি সিমেন্টের মত পদার্থ নিঃসরণ করে। এই পাথরের বিভিন্ন বিশেষত্ব দেখে একে জীব হিসেবে ভাবতে বাধ্য হতে হয়। প্রবল বৃষ্টি হলেই এই পাথর থেকে সিমেন্ট জাতীয় পদার্থ বের হতে থাকে। এই খনিজ পাথরে কিছু রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে, যার প্রতিক্রিয়ার কারণে শিলা বৃদ্ধি পায়।
advertisement
ট্রভেন্টস সম্পর্কে আরেকটি অদ্ভুত বিষয় হল এই পাথর একটি সিমেন্টের মত পদার্থ নিঃসরণ করে। এই পাথরের বিভিন্ন বিশেষত্ব দেখে একে জীব হিসেবে ভাবতে বাধ্য হতে হয়। প্রবল বৃষ্টি হলেই এই পাথর থেকে সিমেন্ট জাতীয় পদার্থ বের হতে থাকে। এই খনিজ পাথরে কিছু রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে, যার প্রতিক্রিয়ার কারণে শিলা বৃদ্ধি পায়।
advertisement
এক গবেষক ২ সপ্তাহ ধরে ট্রভেন্টসের উপরে নজর রেখে জানিয়েছেন যে এটি ২.৫ মিলিমিটার সরে গিয়েছে। মাটির তাপমাত্রা বাড়া বা কমার কারণে শিলার স্থান পরিবর্তন হয়েছে বলে ধারণা বিজ্ঞানিদের। ট্রোভান্টস রোমানিয়ার ভ্যালসি কাউন্টির কোস্টেস্টি গ্রামের কাছে একটি বালি খনির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। বর্তমানে এই পাথরের এলাকাগুলোকে রক্ষা করছে ইউনেস্কো।