আজ দ্বিজপ্রিয় সঙ্কষ্টী চতুর্থী: এ ভাবে আরাধনা করলে গণেশের কৃপায় দূর হবে সকল বিঘ্
আজ দ্বিজপ্রিয় সঙ্কষ্টী চতুর্থী: এ ভাবে আরাধনা করলে গণেশের কৃপায় দূর হবে সকল বিঘ্ন
এই দিনে পার্বতীপুত্রের কাছে যদি মনের ইচ্ছা প্রার্থনা করে তাঁকে সঠিক ভাবে পুজো দিয়ে তুষ্ট করা যায়, তাহলে মিলতে পারে মনের মতো প্রার্থনার ফল। গনেশকে পঞ্জিকা অনুসারে বাড়িতে নিয়ে আসুন৷ না হলেই বিপদ৷ পাঁজি মতে, এই দিনের বিশেষ সময়কে মাথায় রেখেই বাড়িতে গণেশ প্রতিষ্ঠা করুন। কারণ এই লগ্ন খুবই শুভ।
প্রতি মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থী তিথি শাস্ত্রে গণেশের আরাধনার জন্য প্রশস্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে
দ্বিজপ্রিয় সঙ্কষ্টী চতুর্থী: ২ মার্চ পড়েছে ২০৭৭ বিক্রম সম্বতের ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থী তিথিতে। বার হল মঙ্গল এবং এই চতুর্থী তিথি থাকবে ৩ মার্চ রাত ২টো ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এই তিথিটিকে সঙ্কষ্টী চতুর্থী, অঙ্গারকী চতুর্থী বা দ্বিজপ্রিয় সঙ্কষ্টী চতুর্থীও বলা হয়ে থাকে। গণেশের আরাধনার জন্য অতীব প্রশস্ত এই তিথি।
কী ভাবে এই তিথিতে গণেশের উপাসনা করতে হয়?
প্রতি মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থী তিথি শাস্ত্রে গণেশের আরাধনার জন্য প্রশস্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বছরে যেহেতু ১২টি মাস, সেই জন্য প্রতি মাসেই একটি করে সঙ্কষ্টী চতুর্থী তিথি উদযাপিত হয়। এর মধ্যে ফাল্গুন মাসে যে ব্রত উদযাপিত হয়, তাকে বলা হয় দ্বিজপ্রিয় সঙ্কষ্টী চতুর্থী বা অঙ্গারকী চতুর্থী। অঙ্গার বা কয়লার ধুনি জ্বালিয়ে, কঠোর ভাবে উপবাস পালন করে এই তিথি উদযাপন করা হয় গ্রহদেবতা মঙ্গলকে প্রসন্ন করার জন্যে। এই বছরে তিথিটি মঙ্গলবারেই পড়েছে, অতএব একে সুবর্ণযোগ বলা যায়।
ফাল্গুন মাসের সঙ্কষ্টী তিথিতে বালচন্দ্র মহাগণপতির আরাধনা করা হয়, তাঁর সাধনক্ষেত্র আগমপীঠ। ঠিক এক ভাবে বছরের বাকি ১১ মাসে এবং কোনও বছরে মলমাস পড়লে সেক্ষেত্রে ১৩ বার বিভিন্ন পীঠে গণেশের বিভিন্ন রূপের উপাসনা করা হয়। এগুলি হল:
পূজা পদ্ধতি:
এই দিন উপবাস পালন করতে হয়। দূর্বা আর তিল দিয়ে আরাধনা করতে হয় গণেশের। ভোগ হিসেবে দিতে হয় তিলের নাড়ু। চাঁদ ওঠার আগে গণপতি অথর্বশীর্ষ পাঠ করে সিদ্ধিদাতার আশীর্বাদ প্রার্থনা করতে হয়।
তিথি মাহাত্ম্য:
এই দিনেই শিব গণপতিকে প্রথমপূজ্য হিসেবে মর্যাদা দেন। শিব পুরাণ এবং সঙ্কষ্টী চতুর্থীর ব্রতকথা মতে মতে, স্নানের সময়ে শিবকে স্নানঘরে প্রবেশে বাধা দেওয়ার জন্য পার্বতী একটি পুতুল তৈরি করে তাতে প্রাণসঞ্চার করেন, নির্দেশ দেন স্নানঘরের দ্বার রক্ষার। এর পরে শিব যখন সেখানে প্রবেশ করতে যান, ছেলেটি বাধা দিলে শুরু হয় ভয়ানক যুদ্ধ। কিন্তু শিব ছেলেটিকে পরাস্ত করতে পারেননি, বিষ্ণু এবং অন্য দেবতাদেরও সে যুদ্ধে পরাজিত করে। অবশেষে বিষ্ণু তাকে দ্বৈতযুদ্ধে ব্যস্ত রাখলে শিব পিছন থেকে এসে ত্রিশূল দিয়ে তার মাথাটি কেটে দেন! ঘটনায় ক্রুদ্ধা পার্বতী সৃষ্টি ধ্বংসের কথা তুললে দেবতাদের ছেলেটির প্রাণ ফিরিয়ে দিতেই হয়। সমস্যা দেখা দেয় কেবল মাথাটি নিয়ে- সেটা আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন গণ নামে পরিচিত তাঁর অনুচরদের শিব পাঠান উত্তর দিকে, বলেন- প্রথম যে প্রাণীকে চোখে পড়বে তারই মাথা নিয়ে আসতে! সেই মতো গণেরা নিয়ে আসে একটি সাদা হাতির মাথা। শিব সেটাকেই ছেলেটির শরীরে স্থাপন করে তাকে প্রাণ ফিরিয়ে দেন, নিজের সন্তান রূপেও স্বীকার করে নেন। পাশাপাশি ঘোষণা করেন- তাঁর এই সন্তানটি গণেদের অধিনায়ক হবে! সেই থেকেই তাঁর নাম হয় গণেশ। পাশাপাশি ঘোষণা করেন শিব- যে কোনও দেবতার পূজা শুরু আগে তাঁর এই ছেলেকে আরাধনা করতে হবে!
Published by:Simli Raha
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।