জমকালো সাজে অষ্টমীর সাঁঝ, মিক্স অ্যান্ড ম্যাচে হোক বাজিমাত!

Last Updated:

বাড়িতে বা অন্য কোথাও পরিবার, আত্মীয় বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় নিজেকে একেবারে অনন্য করে তুলতে আজকের দিনটির কোনও তুলনা নেই।

জমকালো সাজে অষ্টমীর সাঁঝ
জমকালো সাজে অষ্টমীর সাঁঝ
#কলকাতা: আগে অষ্টমীর বিকেলটা সকলে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরতেন। এখন কিন্তু অনেকেই পছন্দ করেন এই দিনটা পরিবারের সঙ্গে কাটাতে, ভাল মন্দ খেতে। তাই এই বিকেল, সন্ধেটা ভীষণ দামী। অনেকটা ভিড় ঠেলতে না হলে বা মণ্ডপে মণ্ডপে ঘোরার পরিকল্পনা আজকের সন্ধ্যায় না থাকলে সাজগোজ একটু অন্য রকম করা যেতেই পারে। বাড়িতে বা অন্য কোথাও পরিবার, আত্মীয় বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় নিজেকে একেবারে অনন্য করে তুলতে আজকের দিনটির কোনও তুলনা নেই। সাজগোজে একটু বাড়াবাড়ি না হয় হয়েই গেল, ক্ষতি কী!
মেয়েদের সাজ—
অষ্টমীর সন্ধ্যায় সাজ হবে জমকালো। সাবেকি হতে পারে, অথবা আধুনিক। যেমন খুশি। সকালের মতো বিকেলেও বেছে নেওয়া যেতে পারে একটা দারুন শাড়ি। ভারী জমকালো কোনও ঐতিহ্যবাহী শাড়ি পরা যেতে পারে। শাড়ি পরার কায়দায় আনা যেতে পারে অভিনবত্ব। বাঙালির আটপৌরে রীতি বা উত্তর-পশ্চিম ভারতীয় কায়দায় সামনে আঁচল দিয়ে পরা যায়। অনেকেই আজকাল দক্ষিণী ধাঁচে কাছা দিয়ে শাড়ি পরতে পছন্দ করেন। তবে এ ক্ষেত্রে দু’টি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন— দক্ষিণী ধাঁচে শাড়ি পরলে একটু নরম সিল্কের শাড়ি পরাই ভাল। গড়ন দোহারা হলে দক্ষিণী ধাঁচে শাড়ি ভাল লাগে। শাড়ির পাট যেন একেবারে নিখুঁত হয়। পাটে পাটে ভাঁজ না থাকলে শাড়ি ফুলে থাকতে পারে। কোমরের কাছ থেকে ভারী মনে হতে পারে।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পালনে মরিয়া 'সুজিতবাবু', শ্রীভূমির রাস্তায় নেই যানজট!
তা ছাড়া লেহঙ্গা পরা যেতে পারে। শাড়িও পরা যায় লেহঙ্গা স্টাইলে। জরিদার ভেলভেট বা সিল্কের কুর্তা-প্যান্টের সেট পরা যেতে পারে। সালোয়ার বা চুড়িদার পরলে একটা জমকালো ওড়না কাঁধে রাখা যেতে পারে। এথনিক টপের সঙ্গে পালাজো পরা যেতে পারে, টিম আপ করে নিতে হবে জমকালো ওড়নাটা।
advertisement
মেক-আপ—
অষ্টমীর সন্ধ্যার মেক-আপ করা যেতে পারে মন খুলে। পোশাকের সঙ্গে রঙ মিলিয়ে আইশ্যাডো, লিপস্টিক বেছে নিতে হবে। খুব সন্তর্পণে করতে হবে হাইলাইট। গ্লিটার ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও খুব সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। সন্ধের সাজে আইলাইনার হতে পারে অন্যরকম— ডবল লাইন করা যেতে পারে, এক রঙে বা একাধিক রঙে। চোখের কোণে এঁকে নেওয়া যায় মাছে লেজের মতো আকৃতি। সাধারণ ডট বা স্টিকার স্টোনও বসিয়ে নেওয়া যায়। তবে দেখতে হবে যেন এথনিক লুকটা মাটি হয়ে না যায়।
advertisement
আলাদা হওয়ার চাবিকাঠি—
সকালের মতো টিকলি পরা যেতে পারে রাতেও। তবে এ বার একটু বড়, ভারী টিকলি বেছে নেওয়া দরকার, যা কপাল জুড়ে থাকবে। শাড়ি হোক বা আনারকলি, লেহঙ্গা হোক লং এথনিক ড্রেস সব কিছুর সঙ্গেই ভাল লাগবে। সে ক্ষেত্রে অন্য গয়নার দিকে নজর দিতে হবে। ভারী টিকলির সঙ্গে মানানসই ভারী কানের দুল পরা যেতে পারে গলা খালি রেখে। অথবা কানে, গলায় খুব হালকা কিছু পরা যেতে পারে। খোঁপায় বা বেণীর গোড়ায় ফুল দিলেই ষোলো কলা পূর্ণ।
advertisement
বেছে নেওয়া যেতে পারে টিয়ারা। আজকাল নানা রকমের টিয়ারা পাওয়া যায়। তেমনটা কেনা না হয়ে থাকলে একটি চোকারকেও মাথার উপর হেয়ার ব্যান্ডের মতো বসিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
ছেলেদের পোশাক—
রাজকীয় সাজের জন্য এই দিনটাই আদর্শ। ধাক্কা পাড় ধুতি, ফিনফিনে পাঞ্জাবি তুলে রাখা থাক অষ্টমীর সন্ধ্যার জন্যই। কাঁথা স্টিচের কাজ করা ধুতি পাঞ্জাবি সেটও পরা যেতে পারে।
advertisement
ধুতির সঙ্গে শর্ট কুর্তা আর জমকালো একটা জ্যাকেট টিম-আপ করে নিলে একেবারে অন্য রকম দেখতে লাগবে।
যাঁরা প্যান্টেই বেশি স্বচ্ছন্দ, তাঁরা বরং বেছে নিন অন্য রকমের কোনও শার্ট। এম্ব্রয়ডারি করা সিল্কের শার্ট এই সন্ধ্যার জন্য আদর্শ হতে পারে। আবার স্বচ্ছন্দ হলে একেবারে ফর্মাল শার্ট প্যান্টের উপর পরে নিতে পারেন একটা দারুণ কারুকাজ করা এথনিক জ্যাকেট। সেটা ব্রোকেডের হতে পারে অথবা একেবার খদ্দরের— মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ জমে ক্ষীর।
advertisement
ছেলেদের গয়না—
অষ্টমীর বিকেলে স্টেটমেন্ট হোক ব্রোচ। ধুতি পাঞ্জাবির সঙ্গে একটা চাদর নিলে তার উপর ছেলেরা লাগিয়ে নিতে পারেন বাহারি ব্রোচ। শার্টের উপর বা কুর্তা পাজামার উপর জ্যাকেট পরলে ব্রোচের সৌন্দর্য খুলে যাবে।
বিশেষ বিষয়—
করোনার দাপট কমলেও ভাইরাস এখনও বিদায় নেয়নি। তাই অতিরিক্ত ভিড়ে যাওয়ার সময় মাস্কে নাক-মুখ ঢাকতে ভুলে গেলে চলবে না। প্রয়োজনে পোশাকের সঙ্গে মানানসই মাস্ক নিয়ে বেরোতে হবে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
জমকালো সাজে অষ্টমীর সাঁঝ, মিক্স অ্যান্ড ম্যাচে হোক বাজিমাত!
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement