লোহাও ক্ষয়ে যাবে... কিন্তু এই গাছের কাঠের কোনও ক্ষয় নেই, ‘কালো সোনা’ দিয়ে তৈরি আসবাবপত্র হেসেখেলে ব্যবহার করতে পারবে পরবর্তী ৪টি প্রজন্ম
- Published by:Siddhartha Sarkar
- local18
Last Updated:
Blackwood Tree: আমরা আজ ব্ল্যাকউডের বিষয়ে কথা বলব। রাঁচির প্রত্যেকটি বাড়ির বাগানেই এই গাছের দেখা মিলবে। আর রাস্তার পাশেও প্রচুর হয় এই গাছ। কিন্তু এই গাছের কাছ সহজলভ্য হলেও তা প্রচুর দামি। এই গাছটিকে ‘কালো সোনা’ও বলা হয়।
শিখা শ্রেয়া, রাঁচি: আমরা সাধারণত একাধিক ধরনের কাঠের নাম শুনে থাকি। আর মজবুত প্রকৃতির সেই সমস্ত কাঠ দিয়ে আমরা আসবাবপত্র বানাই। আসলে মানুষ এটা ভেবেই আসবাবপত্র বানান যেন তা পরবর্তী প্রজন্মও ব্যবহার করতে পারে। তবে আজকের প্রতিবেদনে এমন একটি মজবুত এবং টেকসই প্রকৃতির কাঠের বিষয়ে আলোচনা করা হল, যা ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচিতে রাস্তার আশপাশে প্রচুর পরিমাণে জন্মায়।
আমরা আজ ব্ল্যাকউডের (Blackwood) বিষয়ে কথা বলব। রাঁচির প্রত্যেকটি বাড়ির বাগানেই এই গাছের দেখা মিলবে। আর রাস্তার পাশেও প্রচুর হয় এই গাছ। কিন্তু এই গাছের কাছ সহজলভ্য হলেও তা প্রচুর দামি। এই গাছটিকে ‘কালো সোনা’ও বলা হয়। কারণ এর কাঠ সম্পূর্ণ রূপে কালো হয়।
advertisement
advertisement
ঝড় কিংবা আগুনও ক্ষতি করতে পারে না:
রাঁচির বিখ্যাত পরিবেশবিদ দীপক বলেন যে, এই গাছের সবথেকে বড় বিশেষত্ব হল, দাবানল ছড়িয়ে পড়লেও এই গাছের উপর কোনও রকম প্রভাব পড়ে না। আর সবথেকে বড় কথা বল, এই গাছের কাঠ খুবই শক্ত এবং মজবুত। আসলে এই গাছের মধ্যে এমন এক রাসায়নিক থাকে, যা এটিকে আগুনের হাত থেকে রক্ষা করে। আর একবার এই গাছের কাঠ দিয়ে আসবাবপত্র বানানো হলে কোনও চিন্তা থাকবে না। কারণ তা পরবর্তী চারটি প্রজন্ম অনায়াসে ব্যবহার করতে পারবে।
advertisement
দেড়শো বছরের পুরনো গাছ:
এখানেই শেষ নয়, এই গাছটি দেড়শো বছরেরও বেশি সময় বেঁচে থাকতে পারে। আবার মজার বিষয় হল, ভূমিধস হলেও এই গাছকে নড়ানোই যাবে না। এই গাছ অত্যন্ত মজবুত। রাঁচির বনাঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে দেখা যায় এই গাছ। বর্তমানে তা বেআইনি ভাবে পাচার করা হচ্ছে। তাই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। তাই এই গাছ কাটার বিষয়ে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তারা।
advertisement
একবার আসবাবপত্র বানালে চিরজীবনের জন্য টেনশন থেকে মুক্তি:
পরিবেশবিদ দীপকের বক্তব্য, একবার এই গাছ থেকে আসবাবপত্র বানিয়ে নিলে সারা জীবনের জন্য টেনশন মুক্ত থাকা সম্ভব। আর ব্ল্যাকউড গাছের কাঠ মিশমিশে কালো রঙের হওয়ার কারণ হল, এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ট্যানিন (প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত) থাকে। ট্যানিন আসলে গাঢ় রঙের একটা রাসায়নিক। যা সাধারণত দেখা যায় চা এবং কফির দাগের মধ্যে। এর পাশাপাশি এই গাছের কাঠে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ধর্মী উপাদানও বর্তমান। যার জেরে এই কাঠের তৈরি আসবাবপত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে না পোকামাকড় এবং উইপোকা। তাই প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সকলেই ব্যবহার করতে পারেন কাঠের আসবাবপত্র।
view commentsLocation :
Jharkhand
First Published :
April 01, 2025 2:37 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
লোহাও ক্ষয়ে যাবে... কিন্তু এই গাছের কাঠের কোনও ক্ষয় নেই, ‘কালো সোনা’ দিয়ে তৈরি আসবাবপত্র হেসেখেলে ব্যবহার করতে পারবে পরবর্তী ৪টি প্রজন্ম