মদ্যপ অবস্থায় বা মোবাইলে কথা বলাকালীন গাড়ি চালাতেই পারবেন না! আবিষ্কৃত হল এমনই এক যন্ত্র
Last Updated:
মদ্যপ অবস্থায় বা মোবাইলে কথা বলাকালীন গাড়ি চালাতেই পারবেন না! আবিষ্কৃত হল এমনই এক যন্ত্র
#দেরাদুন: দিন দিন বেড়ে চলেছে, 'ড্রিঙ্ক অ্যান্ড ড্রাইভ'-এর সমস্যা। ঘটছে একের পর এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। কিন্তু এবার সমস্যার সমাধান হতে চলেছে। উত্তরাখণ্ডের একদল বিজ্ঞানী, বর্জ্য পদার্থ দিয়ে তৈরি করেছেন এমন এক যন্ত্র, যাতে চালক মদ্যপ অবস্থায় থাকলে, গাড়িই চলবে না!
আলমোরার 'উত্তরাখণ্ড রেসিডেনশিয়াল ইউনিভার্সিটি', হাল্দওয়ানির 'আর আই ইনসট্রুমেন্টস' ও 'ইনোভেশন ইন্ডিয়া'-- এই তিন সংস্থার বৈজ্ঞানিকরা যৌথভাবে আবিষ্কার করেন এই অভিনব যন্ত্র।
শুধুমাত্র মদ্যপ অবস্থাতেই নয়, চালক যদি ঘুমিয়ে পড়েন বা মোবাইলে কথা বলাকালীন গাড়ি চালান, সেক্ষেত্রেও গাড়ি চলবে না।
advertisement
বর্জ্য পদার্থ ও বনজ ঘাসে থাকা কমপাউন্ড--গ্র্যাফিন, এই যন্ত্রের অন্যতম মূল উপাদান। বৈজ্ঞানিক দলের তিনজন-- আর পি জোশী, আকাশ পান্ডে ও কুলদীপ জোশী ইতিমধ্যে যন্ত্রের একটি প্রোটোটাইপও তৈরি করেছেন।
advertisement
গ্র্যাফিনে মোড়া ইলেকট্রোড অনুঘোটক হিসেবে কাজ করে, অক্সিডেশন পদ্ধতির মাধ্যমে ইথাইল অ্যালকোহলকে অ্যাসিটিক অ্যাসিডে পরিণত করবে। ফলে, অ্যালকোহলের মাত্রা অচল করে দেবে গাড়িকে।
গাড়ি স্টার্ট করতে গেলে, চালককে গ্র্যাফিন সেন্সর চালু করতেই হবে। এবং তা মুহূর্তের মধ্যে চালকের রক্তে অ্যালকোহল জাতীয় কোনও পানীয় আছে কী না, তা সেন্স করে নেবে এবং গাড়ির ইঞ্জিন স্টার্টই হবে না!
advertisement
চালক যদি অন্যকাউকে দিয়ে গ্র্যাফিন কোটেড সেন্সরটি চালান, সেক্ষেত্রেও ফল হবে না! যন্ত্রের ইনফ্রারেড সেন্সর সেটা বুঝে ফেলবে, এবং গাড়ি চলবে না।
গাড়ি চালাতে চালাতে চালক যদি ঘুমিয়ে পড়েন, সেক্ষেত্রে সেন্সরের 'অবজেক্ট' ও 'ইমেজিং মডিউল' চালকের চোখের গতিবিধি লক্ষ করে গাড়িতে থাকা অন্যান্য যাত্রীদের সতর্ক করবে।
advertisement
মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালালে, সঙ্গে সঙ্গে অ্যালার্ট জারি হবে। মোবাইলের জিপিআরএস-জিএসএম ও বায়োমেট্রিক টেকনোলজির সঙ্গে যন্ত্রটি লিংক করা থাকবে, কাজেই মুহুর্তের মধ্যে ট্রাফিক পুলিশ জানতে পারবে গাড়ির অবস্থান!
কোনও পথদুর্ঘটনার ক্ষেত্রে, ৫-১০ মিনিটের মধ্যে যন্ত্রটি নিজে নিজেই ১০০ ডায়াল করে পুলিশকে এসওএস পাঠিয়ে দেবে।
উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপাল কে কে পলের নির্দেশে বৈজ্ঞানিকরা যন্ত্রটি 'উত্তরাখণ্ড স্টেট কাউন্সিল ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি'র পেটেন্ট সেল-এ পাঠিয়েছেন।
advertisement
বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের আগে, ম্যানেসার-এর 'ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর অটোমেটিভ টেকনোলজি', গুরুগ্রাম-এর 'এসজিএস ল্যাব' ও পুনের 'অটোমেটিভ রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন'-এ যন্ত্রটির বিস্তারিত পরীক্ষানিরীক্ষা হবে।
Location :
First Published :
April 24, 2018 6:12 PM IST