Wall Written: ভালবাসেন দেওয়াল লিখতে কিন্তু চলেনা পেট! তবু ছাড়তে পারেন না এই পেশা

Last Updated:

আধুনিকতার এই সময়ে অনেকটাই কদর কমেছে দেওয়াল লিখন শিল্পীদের। যদিও আজও বেশ কিছু সরকারি দেওয়াল লিখনের কাজে দেখতে পাওয়া যায় দেওয়ার লিখন শিল্পীদের। তবুও বর্তমান সময়ে এই শিল্পীদের অস্তিত্ব সংকট বেশ অনেকটাই দেখা দিয়েছে। বহু শিল্পী এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় নিজেকে স্থানান্তরিত করেছেন।

+
দেওয়াল

দেওয়াল লিখনে ব্যস্ত কর্মী

কোচবিহার: আধুনিকতার এই সময়ে অনেকটাই কদর কমেছে দেওয়াল লিখন শিল্পীদের। যদিও আজও বেশ কিছু সরকারি দেওয়াল লিখনের কাজে দেখতে পাওয়া যায় দেওয়ার লিখন শিল্পীদের। তবুও বর্তমান সময়ে এই শিল্পীদের অস্তিত্ব সংকট বেশ অনেকটাই দেখা দিয়েছে। বহু শিল্পী এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় নিজেকে স্থানান্তরিত করেছেন। তবে আজও বহু মানুষ রয়েছেন যাঁরা এই পেশাকে ভালোবেসে করে চলেছেন এই পেশার কাজ। এমনই জেলার দুই ব্যক্তি, যাঁরা পেশাগতভাবে কৃষক। তবে নেশা তাঁদের দেওয়াল লিখন। বর্তমান সময়ে কৃষিকাজের পাশাপাশি এই কাজ করে ভাল টাকা উপার্জন করছেন তাঁরা।
দেওয়াল লিখন কর্মী বাবু বর্মন জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে এই দেওয়াল লিখন পেশার সঙ্গে যুক্ত তিনি। শুধুমাত্রই জেলার মধ্যে নয়, জেলার বাইরে ও বিভিন্ন জেলায় ডাক পড়ে তাঁদের। যে সময়ে দেওয়ার লিখনের কাজ থাকেনা। সেই সময় কৃষি কাজ করতেই ব্যস্ত থাকেন তাঁরা। তবে বহু সরকারি কাজ রয়েছে, যেগুলির সময় তাঁদের ডাক পড়ে। তখন কৃষি কাজ বন্ধ করে এই কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তাঁরা। এই কাজ করে প্রায় মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন হয় তাঁদের।”
advertisement
advertisement
আরেকজন দেওয়াল লিখন কর্মী সামসের হক জানান, “যদিও বর্তমানে কাজের চাহিদা একেবারেই কম। ভোটের সময় এবং সামান্য কিছু সরকারি কাজ ছাড়া তাঁদের খোঁজ কেউ নেয় না। তবে এই কাজ দীর্ঘ সময় ধরে করার জন্য তাঁদের এই কাজের প্রতি আলাদা টান রয়েছে। তাই ডাক পড়লেই হাজির হন তাঁরা। দীর্ঘ সময় ধরে এই কাজ করে বেশ ভাল টাকা রোজগার করেছেন তিনি। এখনোও সরকারি কাজ হলে বেশ ভাল টাকা রোজগার করতে পারেন তাঁরা। তবে যখন কাজ থাকে না তখন ধান, গম কিংবা ভুট্টা চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনিও।”
advertisement
দীর্ঘ সময় ধরে এই শিল্পীদের কদর দিনে দিনে কমে আসছে। আধুনিকতার এই যুগে ব্যানার পোস্টার কিংবা লিফলেট বাজার দখল করেছে অনেকটাই। তাইতো বর্তমান সময়ে বিশেষ কিছু কারণ ছাড়া এই শিল্পীদের আর ডাক পড়ে না। তবুও ভালোবাসার টানেই সম্পূর্ণ পেশাবদল করতে রাজি নন এই দুই দেওয়াল লিখন কর্মী।
advertisement
Sarthak Pandit
view comments
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
Wall Written: ভালবাসেন দেওয়াল লিখতে কিন্তু চলেনা পেট! তবু ছাড়তে পারেন না এই পেশা
Next Article
advertisement
Bidhannagar Rail Station: এক মৃত্যু দেখতে গিয়ে আর এক মৃত্যু! কয়েক মুহূর্তের ব্যবধানে বিধাননগর স্টেশনে জোড়া দুর্ঘটনা
এক মৃত্যু দেখতে গিয়ে আর এক মৃত্যু! কয়েক মিনিটের ব্যবধানে বিধাননগর স্টেশনে জোড়া দুর্ঘটনা
  • বিধাননগর স্টেশনে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা৷

  • ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু যাত্রীর৷

  • কী হয়েছে দেখতে গিয়ে মৃত আরও ১৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement