ব্রিজ ভেঙার সময় ভূমিকম্প ভেবে শিউরে ওঠেছিলেন গ্রামবাসীরা, এখনও কাটছে না আতঙ্ক

Last Updated:

পুরনো ফরাক্কা সেতু দুর্বল হয়ে পড়ায় এবং যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ফরাক্কায় দ্বিতীয় সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল।

Sebak DebSarma
#মালদহ: মালদহের বৈষ্ণবনগরে নির্মীয়মাণ নতুন ফারাক্কা সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ । পাশাপাশি ঘটনায় আলাদা করে তদন্ত করছে জেলা পুলিশ। সকাল থেকে এলাকায় পরিদর্শনে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং জেলা পুলিশের আধিকারিকরা।
কিন্তু ,নিশ্চিত ভাবে সেতু ভেঙে পড়ার কারণ কি তা বলতে পারেননি কেউই। এরই মধ্যে দুর্ঘটনায় মৃত টেকনিশিয়ান শচীন প্রতাপের বাবা প্রোজেক্টের অন্যতম সুপারভাইজার উদয়বীর সিং, নির্মীয়মান সেতুর নকশায় গলদ ছিল বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাঁর দাবি, যে নকশা অনুযায়ী কাজ হচ্ছিল তাতে সমস্যা হতে পারে বলে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু নকশা বদলের প্রয়োজনীয় লিখিত নির্দেশ পাননি তাঁরা । যদিও এখনই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের আধিকারিকরা নকশার ত্রুটির কথা মানতে রাজি নন। ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে বিশেষজ্ঞদল সেতু ভেঙে পড়ার কারণ জানাতে পারবে বলে মত জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের।
advertisement
advertisement
এদিকে দুর্ঘটনার জেরে সোমবার সকাল থেকে সেতু নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গোটা এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে এলাকার আশেপাশে যেতে দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে, স্থানীয় মানুষ জানিয়েছেন, গতকাল সেতু ভেঙে পড়ার সময় আশেপাশের গ্রামে প্রবল কম্পন অনুভূত হয়। প্রথমে অনেকেই ভূমিকম্প বলে ভুল করে আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন । এমনকি যাঁরা গঙ্গায় মাছ ধরছিলেন তাঁরাও দ্রুত নৌকা ছেড়ে পালিয়ে আসেন। পরে নির্মীয়মাণ সেতুর অংশবিশেষ ভেঙে পড়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন স্থানীয়রা। এদিন এলাকার সাধারণ মানুষের চোখে মুখে ছিল উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা । সকলেই দাবি করেন, নতুন করে সেতুর কাজ শুরুর আগে বিপর্যয়ের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করা হোক। যাতে ভবিষ্যতে এই সেতুর নিরাপত্তা নিয়ে কোনও রকম সমস্যা বা বিপদ না ঘটে ৷
advertisement
পুরনো ফরাক্কা সেতু দুর্বল হয়ে পড়ায় এবং যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ফরাক্কায় দ্বিতীয় সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। এখন নদীতে শুখা মরসুমে থাকায় দ্রুততার সঙ্গে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিল দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্সি। ইতিমধ্যে নির্মীয়মাণ সেতুর ৪২টি পিলার তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এরপর গার্ডারের মাধ্যমে যুক্ত করার কাজ চলছিল। রবিবার রাতে দুর্ঘটনায় এমনই কুড়িটি গার্ডার ভেঙে পড়ে। সব মিলিয়ে ৬৫ মিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখনো ঘটনাস্থলে পিলারের ওপর গার্ডার ও লঞ্চার ঝুলে রয়েছে। ফলে সে গুলি কেউ নিরাপদে সরানোর বন্দোবস্ত করতে হবে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে ।
advertisement
এদিকে ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর । ঘটনার জন্য কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল। ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত দাবি করার পাশাপাশি সেতু নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন মালদহ তৃণমূল নেতৃত্ব ।অন্যদিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শনের পর মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত করা হবে । তবে তৃণমূল ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করছে তা ঠিক নয়।।
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
ব্রিজ ভেঙার সময় ভূমিকম্প ভেবে শিউরে ওঠেছিলেন গ্রামবাসীরা, এখনও কাটছে না আতঙ্ক
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement