হোম /খবর /উত্তরবঙ্গ /
লাখ লাখ মানুষের পাশে রাজ্য! ফুলহার-গঙ্গার ভাঙন নিয়ে হবে জিওগ্রাফিক্যাল সার্ভে

Maldah: লাখ লাখ মানুষের পাশে রাজ্য! গঙ্গা-ফুলহার নদীর ভাঙন নিয়ে জিওগ্রাফিক্যাল সার্ভের নির্দেশ

গত কয়েক বছর ধরে ক্রমশই কমে আসছে গঙ্গা ও ফুলহার নদীর দূরত্ব। বর্তমানে দূরত্ব কমে হয়েছে ১.২০ কিলোমিটার। যা ঘিরে ক্রমশই বিপদের আশঙ্কা করছে জেলা প্রশাসন ও রাজ্য।

  • Last Updated :
  • Share this:

সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়

#মালদহ: নিউজ এইট্টিন বাংলার খবরের জের। গঙ্গা-ফুলহার নদীর দূরত্ব বিষয় নিয়ে এ বার তৎপর রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, সেচ দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গঙ্গা-ফুলহার নদীর বিষয় নিয়ে সার্ভে করার। মহানন্দ টোলা, বিলাই মারি গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধারণ মানুষের সঙ্গেও কথা বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ একটি পরিদর্শক দল গঠন করা হচ্ছে এর জন্য বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, আগামী মঙ্গলবার দিল্লিতে যাচ্ছে সেচ মন্ত্রীর নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধিদল। দিল্লি থেকে ফিরে এসেই এই বিষয় নিয়ে অ্যাকশন প্ল্যান নেওয়া হবে। আপাতত জিওগ্রাফিক্যাল সার্ভে করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র জানিয়েছেন, "আমরা দিল্লি থেকে ফিরে এসেই কী ব্যবস্থা গ্রহণ করব সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। প্রাথমিকভাবে জিওগ্রাফিক্যাল সার্ভে করার কথা বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মহানন্দ টোলা ও বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতে জল নামলেই সেচ দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব যাবেন এলাকা পরিদর্শনে।

প্রসঙ্গত নদী ভাঙনের জেরে মালদহ জেলায় বিপদের আশঙ্কা ক্রমশই বাড়ছে। বুধবারই আমরা জানিয়েছিলাম গত কয়েক বছর ধরে ক্রমশই কমে আসছে গঙ্গা ও ফুলহার নদীর দূরত্ব। বর্তমানে দূরত্ব কমে হয়েছে ১.২০ কিলোমিটার। যা ঘিরে ক্রমশই বিপদের আশঙ্কা করছে জেলা প্রশাসন ও রাজ্য। প্রত্যেক বছর এই গঙ্গা নদীর ভাঙন হচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ মিটার। এই হারে ভাঙন চলতে থাকলে গঙ্গা- ফুলহার নদী এক সঙ্গে মিশে যাবে তেমনটাই আশঙ্কা করছে জেলার সেচ দফতরের আধিকারিকরা।

সে ক্ষেত্রে এই দুই নদী মিশে গেলে মহানন্দটোলা, বিলাই মারি সহ আরও কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মুছে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তার ফলে কয়েক লক্ষ মানুষের বিপদের মধ্যে পড়ার আশঙ্কা আছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাময়িক সময়ের জন্য প্রতিকার পাওয়া সম্ভব হলেও দীর্ঘমেয়াদি প্রতিকার পাওয়া সম্ভব নয়। যদিও রাজ্য সেচ দফতর এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের ভূমিকা নিতে পারে বলেই সূত্রের খবর। তবে এই বিষয় নিয়ে সময় নষ্ট করতে চাইছে না রাজ্য সরকার। আর তাই মহানন্দ টোলা বিলাই মারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাগুলোতে জল নামলেই অতিরিক্ত মুখ্য সচিব এলাকাগুলি পরিদর্শন করতে পারেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে বলেই জানা গিয়েছে। সাম্প্রতিক অতীতেও দামোদর, সরস্বতীর মতো বেশ কিছু নদীর গতিপথ স্থানীয়ভাবে পরিবর্তন হয়েছে। সে ক্ষেত্রে নদীর গতিপথের পরিবর্তন এই এলাকাতেও হবে না তো, সেই আশঙ্কা ও আতঙ্ক নিয়ে এই দিন কাটাচ্ছে এই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামবাসীরা।

Published by:Simli Raha
First published:

Tags: Erosion, Maldah