গ্রামের মাঝে সুদৃশ্য পাকাবাড়ি, তা-ও আবাস যোজনার তালিকায় তৃণমূল প্রধানের স্বামীর নাম!

Last Updated:

মালদহের চাঁচোল-১ নম্বর ব্লকের মতিহার পঞ্চায়েতের অধীন রহিমপুর এলাকায় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের সুদৃশ্য পাকাবাড়ি। যে গ্রামে বেশিরভাগ নিম্নবিত্ত পরিবারের বাস, সেখানে এমন আধুনিক পাকাবাড়ি প্রথম থেকেই নজর কেড়েছে বাসিন্দাদের। এরইমধ্যে আবাস যোজনার সরকারি তালিকায় প্রধানের স্বামীর নাম উঠে আসায় শুরু হয় নতুন করে হইচই, তরজা।

#সেবক দেবশর্মা, মালদহ: বসবাসের জন্য রয়েছে সুদৃশ্য পাকা বাড়ি। অথচ, সরকারি ঘর প্রাপকদের তালিকায় নাম মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর। এখানেই শেষ নয়, আবাস যোজনার সরকারি তালিকায় নাম উঠেছে প্রধানের দুই দেওরেরও। গ্রামাঞ্চলে অনেক গরিব মানুষ যেখানে সরকারি আবাস যোজনার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, সেখানে তালিকায় কী ভাবে একইসঙ্গে প্রধানের স্বামী ও দুই দেওরের নাম উঠে এল? এই প্রশ্নে সরব বিরোধীরা। এরপরেই তালিকা থেকে নিজেদের নাম বাদ দেওয়ার জন্য ব্লক প্রশাসনের কাছে দরবার পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতার।
মালদহের চাঁচোল-১ নম্বর ব্লকের মতিহার পঞ্চায়েতের অধীন রহিমপুর এলাকায় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের সুদৃশ্য পাকাবাড়ি। যে গ্রামে বেশিরভাগ নিম্নবিত্ত পরিবারের বাস, সেখানে এমন আধুনিক পাকাবাড়ি প্রথম থেকেই নজর কেড়েছে বাসিন্দাদের। এরইমধ্যে আবাস যোজনার সরকারি তালিকায় প্রধানের স্বামীর নাম উঠে আসায় শুরু হয় নতুন করে হইচই, তরজা।
advertisement
advertisement
মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান নমিতা দাস। তাঁর স্বামী গণেশচন্দ্র দাস এলাকায় দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসাবেই পরিচিত। গণেশবাবু ছাড়াও মতিহারপুর অঞ্চলের আবাস যোজনার তালিকায় নাম উঠেছে তাঁর আরও দুই ভাই গোকুল দাস ও গোপাল দাসের। স্বামী ও দুই দেওরের নাম আবাস যোজনার তালিকায় উঠেছে বলে প্রকাশ্যে শিকারও করেছেন প্রধান। তবে প্রধান ও তাঁর স্বামীর সাফাই, যে পাকাবাড়ির কথা বলা হয়েছে তা, তাঁদের একমাত্র ছেলের। তাঁরা এই পাকা বাড়িতে না থেকে পাশেই কাঁচাবাড়িতে থাকেন। তা ছাড়া, তালিকায় নাম রয়েছে একথা জানার পরেই বিডিও-র কাছে নাম বাদ দেওয়ার জন্য আবেদনও করেছেন তাঁরা।
advertisement
এদিকে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী ও দুই দেওরের নাম আবাস যোজনার তালিকায় ওঠা নিয়ে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। প্রকৃত গরিব মানুষকে বঞ্চিত করে প্রধান থেকে তৃণমূলের নেতারা নিজেদের নাম তালিকায় তুলেছেন বলে অভিযোগ বিজেপির। ওই তালিকা সংশোধন করে প্রকৃত গরিবদের নতুন তালিকা তৈরির দাবি করা হয়েছে। এদিকে আবাস যোজনার তালিকায় এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তিতে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল নেতৃত্বের পাল্টা দাবি, ঘর পাওয়ার যোগ্য নয় এমন কোনও প্রধান বা নেতার বা তাঁদের আত্মীয়দের নাম তালিকায় থাকলে বাদ যাবে। দল কাউকে এই ধরনের কাজ করার অনুমতি দেয়নি।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
গ্রামের মাঝে সুদৃশ্য পাকাবাড়ি, তা-ও আবাস যোজনার তালিকায় তৃণমূল প্রধানের স্বামীর নাম!
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement