হচ্ছেটা কী ৩২ কোটির ড্যাম-বাঁধে! ব্যাক টু ব্যাক ভাঙন, কেন জানেন? যা বলছেন স্থানীয়রা

Last Updated:

নদীপাড়ের বহু পরিবার এখন ভয় আর আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তাঁদের আশঙ্কা, দ্রুত বাঁধ মেরামতির ব্যবস্থা না হলে একাধিক বাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে যেতে পারে।

+
নদীর

নদীর পাড় ভাঙছে প্রতিনিয়ত 

দক্ষিণ দিনাজপুর, সুস্মিতা গোস্বামী: ‘নদীর তীরে বাস, শঙ্কা বারো মাস’ আর সেই শঙ্কায় দিন কাটাতে হচ্ছে বালুরঘাট পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ডাকরা এলাকায় আত্রেয়ী নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে জানা যায়, বেশ কিছুদিন আগেই নদীর পাড় সংস্কারের কাজ করা হয়। কিন্তু বর্ষার জল বেড়ে যাওয়ায় সেই বাঁধ ইতিমধ্যেই ভাঙতে শুরু করেছে। এতে নদীপাড়ের বহু পরিবার এখন ভয় আর আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তাঁদের আশঙ্কা, দ্রুত বাঁধ মেরামতির ব্যবস্থা না হলে একাধিক বাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে যেতে পারে।
আত্রেয়ী নদী বালুরঘাটের প্রাণস্বরূপ। এক সময় সারা বছর নদীতে জল থাকত। জেলে পরিবারগুলির জীবিকা, কৃষিজীবী মানুষের চাষাবাদ সবই নির্ভর করত এই নদীর উপর। কিন্তু এখন বর্ষাকাল বাদ দিলে নদীতে পর্যাপ্ত জল থাকে না। জল ধরে রাখতে প্রায় ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে বছর খানেক আগে চকভবানীতে একটি কংক্রিটের ড্যাম নির্মাণ করা হয়েছিল। অথচ সেই ড্যামও এক বছরের মধ্যেই ভেঙে যায়। এবার নতুন করে সংস্কার করা নদীর বাঁধও মাত্র এক মাসের মধ্যেই ভাঙতে শুরু করেছে। ফলস্বরূপ স্থানীয় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে ব্যাপক।
advertisement
advertisement
ড্যাম তৈরি হওয়ার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই নদীবাঁধের বেহাল দশায় বিরক্ত দক্ষিণ দিনাজপুরের নদী পাড়ের বাসিন্দারা। প্রথমে ড্যামের একাংশ ভেঙে পড়া এবং পরে পশ্চিমপ্রান্তে সিঁড়ি সহ বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে নদীগর্ভে তলিয়ে গেলে মেরামতির কাজ চলতে না চলতেই বর্ষার মরশুমে জল বাড়তেই আবারও ধসে পড়েছে বালির বস্তা।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তাদের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে বাঁধ তৈরি হয়েছে। বাঁধ সংস্কারের কাজে দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে। তাই বারংবার পাড় বাঁধার কাজ শুরু হলেও সেই কাজ টেকসই করছে না। সঠিকভাবে কাজ না করায় অল্প সময়ের মধ্যেই নদীর চাপে তা ভেঙে পড়ছে। তাই লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হলেও টেকসই কাজ হয়নি বলেই মত। তাদের দাবি, অবিলম্বে এই ভাঙন রোধ করার জন্য কংক্রিটের পাড় বাঁধানো হোক।অন্যদিকে সেচ দফতর ও জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। জল কমলেই ভাঙা বাঁধ মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
হচ্ছেটা কী ৩২ কোটির ড্যাম-বাঁধে! ব্যাক টু ব্যাক ভাঙন, কেন জানেন? যা বলছেন স্থানীয়রা
Next Article
advertisement
'কোভিড যদি আবার ফেরত না আসে...' চিংড়িহাটা মেট্রো মামলায় মন্তব্য আদালতের, খোলা মনে আলোচনায় বসার পরামর্শ রাজ্যকে
'কোভিড যদি আবার ফেরত না আসে...' চিংড়িহাটা মেট্রো মামলায় মন্তব্য আদালতের
  • কোভিড যদি আবার ফেরত না আসে তাহলে রাস্তায় গাড়ির চাপ কোনওদিনই কমবে না। চিংড়িহাটা মেট্রো প্রকল্প সংক্রান্ত মামলায় এমনটাই মন্তব্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পালের। একইসঙ্গে রাজ্যকে খোলা মনে আলোচনায় বসার পরামর্শ দিয়েছে আদালত

VIEW MORE
advertisement
advertisement