#শিলিগুড়ি: না, আপাতত খুলছে না শিলিগুড়ির ইসকন মন্দির। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, আগামী ১ জুন থেকে রাজ্যে খুলবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। অর্থাৎ মন্দির, মসজিদ, গির্জা খুলবে। কিন্তু মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব সহ যাবতীয় করোনা প্রতিরোধক বিধি। সেইসঙ্গে ১০ জনের বেশী ভক্ত একবারে নয়। কিন্তু খুলছে না শিলিগুড়ির ইস্কন মন্দির। যেভাবে করোনা ছড়াচ্ছে, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই আপাতত ইস্কন মন্দিরের দরজা খুলছে না ।মন্দিরের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নামকৃষ্ণ দাস জানান, পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। উন্নতি হলে আগামী ১৫ জুন ভক্তদের জন্যে মন্দিরের দরজা খোলা হবে। সেক্ষেত্রেও মানা হবে যাবতীয় স্বাস্থ্য বিধি। সরকারী নির্দেশিকা মেনেই চলবে পুজোপাঠ। ভিড় এড়ানো হবে। কোনোভাবেই ভিড়ে ঠাসা ভক্ত সমাগম হবে না। লকডাউনের আগে থেকেই বন্ধ রয়েছে ইস্কনের দরজা। মন্দির খুললে পারস্পরিক দূরত্ব যেমন মানতে হবে। তেমনি মাস্ক বা ফেস কভার পড়া বাধ্যতামূলক।পাশাপাশি, মন্দিরের গেটেই হ্যাণ্ড স্যানিটাইজার থাকবে । এদিকে এবারে ইস্কনের রথ নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সবই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর। প্রতি বছর যে ভক্ত সমাগম হত। এবার তা হবে না। বাইরে থেকেও ভক্তদের ভিড় এড়ানো হবে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে রথ বের হবে শহরের রাস্তায়। নইলে মন্দির প্রাঙ্গনেই ঘুরবে রথের চাকা। যাবতীয় নিষ্ঠার সঙ্গেই হবে পুজো।প্রশাসনিক অনুমতি পেলে মন্দিরের বাইরে বের হবে ইস্কনের রথ। জগন্নাথ, সুভদ্রা, বলরাম যাবে মামার বাড়ি।মেলা বসবে ইস্কন মন্দিরের সামনে। হবে উল্টো রথও। কিন্তু করোনার জাল যেভাবে ছড়াচ্ছে, উত্তরবঙ্গেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তাতে রথ যাত্রা নিয়েও অনিশ্চয়তার বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে। তবে শিলিগুড়ির অন্য রথ যাত্রাগুলো হবে কিনা তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। করোনার জেরেই এবারে হয়নি বাঙালির বর্ষবরণ উৎসব, অক্ষয় তৃতীয়াতেও ঘর বন্দী ছিল সাধারন মানুষ।
Partha Pratim Sarkar
Published by:Elina Datta
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।