#শিলিগুড়ি: ফের প্লাস্টিক বিরোধী অভিযানে শিলিগুড়ি পুরসভা। এবারে মহাবীরস্থান বাজারে অভিযান। আটক প্রচুর রঙ বেরঙের প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ। শিলিগুড়িতে কোনও মাইক্রোনেরই প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার করা যাবে না। ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা হওয়ায় ২০০৭ সালে গোটা দার্জিলিং জেলায় নিষিদ্ধ করা হয় ২০ মাইক্রোনের নীচে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে শিলিগুড়ি পুর এলাকাতেও প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু ঘোষণাতেই বন্দি থাকে সিদ্ধান্ত।
মাঝেমধ্যেই চলে অভিযান। তার পরে আবার সেই ব্যাগেরই রমরমা কারবার চলতে থাকে পুর এলাকায়। বিভিন্ন বাজারে দেদার বিক্রি হয় প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ। জরিমানা, গ্রেফতার করার পরও পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা যায়নি এর ব্যবহার। এবারে দেশজুড়েই নিষিদ্ধ করা হয়েছে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ। ১০০ মাইক্রোনের নীচে ক্যারিব্যাগ ব্যবহার করা যাবে না। গত ১ জুলাই থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এখনও এর ব্যবহারে শিলিগুড়ি আছে শিলিগুড়িতেই!
এখনও প্রতিটি বাজারে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের হাতে মিলছে এই ক্যারিব্যাগ। সচেতন করতে ফের পথে পুরসভা। আজ মহাবীরস্থান বাজারে স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে অভিযানে নামে পুরসভা। ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকারের নেতৃত্বে চলে অভিযান। ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর, মেয়র পারিষদ সদস্যও। শুধু প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগই নয়, শিলিগুড়িতে নিষিদ্ধ থার্মোকলের বাক্স থেকে থালা, গ্লাসও। ব্যবহার করলেই ৫০০ টাকা আর্থিক জরিমানা করা হবে।
আরও পড়ুন- করোনা পরবর্তী সময় নিয়ে চিন্তায় চিকিৎসকরা! কো-মর্বিডিটি থাকলে কী করবেন, কী করবেন নাআইন ভাঙলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীর ট্রেড লাইসেন্সও বাতিল করা হবে। জানালেন ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার। দোকানে দোকানে "নো প্লাস্টিক" স্টিকারও আজ সাঁটিয়ে দেয় পুরসভা। পরিবর্তে কাগজের ব্যাগ, চটের ব্যাগ ব্যবহারের পরামর্শ পুরসভার। কিন্তু সচেতন হবে কি শহরবাসী? কেননা আজও দেখা যায় প্রায় প্রতিটি দোকানেই প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগের স্তূপ। ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, এর উৎপত্তিস্থল বন্ধ করতে হবে। তৈরি করা বন্ধ না হলে বাজারে তা আসবেই। এবং ব্যবহারও হবে। পুরসভা কি পারবে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ তৈরির কারখানা বন্ধ করতে? উঠছে এমনই নানা প্রশ্ন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Plastic ban