রাজবাড়ি যেন 'ভুতুড়ে হাভেলি'! অবিলম্বে হেরিটেজ ম্যাপ চায় জলপাইগুড়ি

Last Updated:

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, দুর্গাপুজোর সময় এই রাজবাড়ির কিছু সামগ্রী, যেমন মুকুট, অস্ত্র ইত্যাদি বাইরে আনা হয়৷ বৈকুণ্ঠপুরের রায়কত পরিবার একসময় নেপালের মোরাং, ইলম অঞ্চল শাসন করতেন৷ রায়কত পরিবার কোচবিহার রাজবংশেরই একটি শাখা৷

#জলপাইগুড়ি: জেলাটির আয়তন নিছক ছোট নয়৷ ভোটারের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৩১ হাজার ৪৭০৷  ব্রিটিশ আমলে তৈরি এই প্রাচীন জেলার হেরিটেজ সম্পদ কম নেই৷ কিন্তু একের পর এক ভোট-প্রতিশ্রুতি পেরোয়৷ জলপাইগুড়ি শহরে হেরিটেজ ম্যাপ নিয়ে গড়িমসি চলছেই৷ যার নির্যাস, জলপাইগুড়ি শহরের প্রাচীন ভবনগুলি এখন স্রেফ পোড়ো স্থাপত্য৷ চুন, সুড়কি খসে পড়ছে৷ অবহেলিত ইতিহাস৷
জলপাইগুড়ি শহরের মধ্যেই অন্যতম স্থাপত্য হল জলপাইগুড়ি রাজবাড়ি৷ রাজবাড়ির সামনে পৌঁছতেই সব যেন ওলপালট হয়ে গেল৷ ভগ্নপ্রায় একটি প্রাচীন পোড়ো, বটের শিকড় গজিয়ে ওঠা বাড়ি৷ রাজ পরিবারের দম্ভ বহন করছে৷
জলপাইগুড়ি রাজবাড়ি  ছবি: সিদ্ধার্থ সরকার জলপাইগুড়ি রাজবাড়ি
advertisement
ছবি: সিদ্ধার্থ সরকার
জলপাইগুড়ি রাজবাড়ি বৈকুণ্ঠপুর রাজাদের৷ রাজবাড়ির শেষ রাজা ছিলেন প্রসন্নদেব রায়কত৷ রাজবাড়ির ভিতরে প্রবেশ নিষেধ৷ তাই কৌতুহল নিয়েই ফিরতে হল৷ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, দুর্গাপুজোর সময় এই রাজবাড়ির কিছু সামগ্রী, যেমন মুকুট, অস্ত্র ইত্যাদি বাইরে আনা হয়৷ বৈকুণ্ঠপুরের  রায়কত পরিবার একসময় নেপালের মোরাং, ইলম অঞ্চল শাসন করতেন৷ রায়কত পরিবার কোচবিহার রাজবংশেরই একটি শাখা৷
advertisement
রাজবাড়ির গেট, ছবি: সিদ্ধার্থ সরকার রাজবাড়ির গেট, ছবি: সিদ্ধার্থ সরকার
রাজবাড়িটির অবস্থা শোচনীয় বললে, কম বলা হয়৷ আশপাশের আবর্জনা যদি এড়িয়েও যাই, তা হলেও খোদ রাজবাড়ির অবস্থা বিপজ্জনক৷ ১৮৯০ সালে তৈরি হয়েছিল এই রাজবাড়ি৷ রাজ ফটক বা গেটটি তৈরি হয় ১৯১১ সালে৷ জলপাইগুড়ির রাজা রাজবাড়ির পাশেই একটি দিঘি তৈরি করেছিলেন৷ আজও রয়েছে সেই দিঘি৷ দিঘি সামনেই রয়েছে একটি মন্দির৷
advertisement
জলপাইগুড়ি রাজবাড়ি ছাড়াও জলপাইগুড়ি শহরে রয়েছে কোচবিহার মহারাজার নাচঘর, ইউরোপিয়ান ক্লাব৷ ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে রাজ্য হেরিটেজ কমিশন জলপাইগুড়ি পুরসভাকে হেরিটেজ ম্যাপ তৈরির নির্দেশ দেয়৷ আজও সেই ম্যাপ তৈরি হয়নি৷ যদিও পুরসভা জানাচ্ছে, ম্যাপ তৈরির কাজ এগোচ্ছে৷
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বামেরা ৩৪ বছরে জলপাইগুড়ির হেরিটেজ রক্ষা নিয়ে কোনও উদ্যোগ নেয়নি৷
advertisement
নিয়মানুযায়ী, কোনও স্থাপত্যকে হেরিটেজ স্বীকৃতি দিতে হলে, তা ৭৫ বছরের বেশি পুরনো হতে হয়৷ একই সঙ্গে সংস্কারের সময় ওই স্থাপত্যের মূল কাঠামো পরিবর্তন করা যায় না৷
শহরের প্রবীণ বাসিন্দা অচিন্ত্য বর্মণের বক্তব্য, আমরা চাই জলপাইগুড়ি শহর আরও উন্নত হোক৷ দীর্ঘ দিন ধরেই এই শহর বড় অবহেলিত৷ অন্তত্য হেরিটেজ ম্যাপ তৈরি হলে প্রাচীন স্থাপত্যগুলির সংস্কার হবে৷ পর্যটকরাও জলপাইগুড়ির ঐতিহ্যের স্বাদ পাবেন৷ যে দলই ভোটে জিতুক, আমাদের এই দাবিটি পূরণ করুক৷
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
রাজবাড়ি যেন 'ভুতুড়ে হাভেলি'! অবিলম্বে হেরিটেজ ম্যাপ চায় জলপাইগুড়ি
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement