পরিবারের চারজনকে খুন, কালিয়াচকের আসিফকে জেরা করে প্রচুর অস্ত্রের হদিশ পেল পুলিশ

Last Updated:

১৯ বছরের যুবক এত অস্ত্র পেল কোথা থেকে?

#মালদহ: কালিয়াচকের হত্যাকাণ্ডে এবার চাঞ্চল্যকর মোড়। বাবা, মা, বোন, ও ঠাকুমাকে খুন করে পুঁতে দেওয়ার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আসিফ মহম্মদকে জেরা করে মিলল প্রচুর অস্ত্রের হদিশ। তারই দুই বন্ধুর কাছে লুকিয়ে রাখা ছিল পাঁচটি সেভেন এমএম পিস্তল, ৮০ রাউন্ড কার্তুজ এবং দশটি ম্যাগাজিন। সেগুলি উদ্ধার করেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে আসিফের দুই বন্ধু সাবির আলি এবং মহম্মদ মাফুজকে। এই ঘটনায় খুন এবং অস্ত্র রাখার অভিযোগে দুটি পৃথক মামলা রুজু করেছে পুলিশ। খুন ও তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে আসিফ মহম্মদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও তিনজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে পৃথক একটি মামলাও রুজু করা হয়েছে। পুলিশের আবেদন মতোই এদিন খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আসিফ মহম্মদের ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর করেছে মালদহ জেলা আদালত। অন্য দুই জনের ক্ষেত্রে পুলিশ পাঁচদিনের হেফাজতের আবেদন করলেও আদালত চারদিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। যদিও অস্ত্রসহ ধৃত আসিফের দুই বন্ধু সাবির আলি এবং মহম্মদ মাফুজের পরিবারের লোকজন দাবি করেছেন, আসিফই তাদের ছেলেদের কাছে অস্ত্র রেখেছিল। অস্ত্র রাখার বিষয়টি তাদের জানা ছিল না।
সাবিরের মা পলি বিবি জানান, দিনকয়েক আগে একটি কালো স্কুলব্যাগ সাবিরকে রাখতে দিয়েছিল আসিফ। ব্যাগ তালা বন্ধ ছিল। বাড়ির পাশেই অন্য একটি নির্জন বাড়িতে ওই ব্যাগ লুকিয়ে রেখে আসে সাবির। পুলিশ এসে সেই ব্যাগ খুলে অস্ত্র উদ্ধার করেছে। জানা গিয়েছে, খুনের পর গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার বন্ধু আসিফের বাড়িতে গিয়েছিল সাবির। এমনকী গ্রেফতারের দিনও রাতে আসিফের জন্য খাবার পৌঁছে দিয়ে আসে সাবির। তবে খুনের কথা তার জানা ছিল না বলে দাবি পরিবারের। অস্ত্র রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার মালদহের কালিয়াচক কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র মাফুজের মা সোনা বিবি বলেন, দশম শ্রেণী পর্যন্ত একইসঙ্গে পড়ত আসিফ ও মাফুজ। আসিফ পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার পর মাফুজকে তার সঙ্গে মিশতে বারবার বারণ করা হয়েছিল পরিবারের তরফে। এরপরও আসিফ কখন মাফুজের কাছে অস্ত্র রেখেছে তা নিয়ে হতবাক পরিবারের লোকজন। তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন, সম্পত্তিগত কারণেই এই খুনের ঘটনা হতে পারে।
advertisement
মূলত পারিবারিক সম্পত্তি থেকে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা ছিল আসিফের। প্রতিবেশী এবং কিছু আত্মীয়দের কাছেও সে বেশ কিছু টাকা হাতিয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রথমে বাবাকে চাপ দিয়ে পারিবারিক সম্পত্তি বিক্রি করায় আসিফ। সেই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর প্রায় দেড় বিঘা জমির ওপর দোতলা বাড়ি নিজের নামে লিখিয়ে নেয় সে। এরপরই পরিবারের বাকি সদস্যদের রাস্তা থেকে সরানোর ছক কষে। ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে অজ্ঞান করার পর হাত-পা বেঁধে মুখ বন্ধ করে জলে চুবিয়ে খুন করা হয়।তবে খুনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার পরও এভাবে খুনে সফল না হলে বিকল্প হিসেবে গুলি করে খুনের জন্যই অস্ত্র মজুত করা হয়েছিল বলেও পুলিশের সন্দেহ। তবে এখনো পুলিশকে যে বিষয় ভাবাচ্ছে তা হল একসঙ্গে পরিবারের চারজনের খুনের উদ্দেশ্য কী? তাছাড়া মাত্র ১৯ বছরের যুবক এত অস্ত্র পেল কোথা থেকে? আপাতত তিন বন্ধুকে হেফাজতে নিয়ে একসঙ্গে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
advertisement
view comments
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
পরিবারের চারজনকে খুন, কালিয়াচকের আসিফকে জেরা করে প্রচুর অস্ত্রের হদিশ পেল পুলিশ
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement