শিলিগুড়ি: সোনা পাচারের ক্ষেত্রে ক্রমেই করিডর হয়ে উঠছে শিলিগুড়ি! আর সেই শিলিগুড়িকে কেন্দ্র করে সোনা পাচারের ছক উত্তরোত্তর বাড়ছে। যদিও গোয়েন্দাদের তৎপরতায় পাচারকারীদের ছক বানচাল হচ্ছে প্রায়শই। এমনই এক ছক বানচাল করল ডিআরআই। ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ সোনা।
ডিআরআই সূত্রে খবর, পুলিশ এবং গোয়েন্দাদের নজর এড়াতে পাচারকারীরা অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছিল। সোনা গলিয়ে স্প্রিং-এর আকার দেওয়া হয়েছিল। এরপর তা ব্রেক শু নীচে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। যদিও পাচারকারীদের সেই ছক সফল হল না। ভেস্তে দিল ডিআরআই।
আরও পড়ুনঃ তছনছ হওয়ার আশঙ্কা! ৬০ কিমি বেগে ধেয়ে আসছে ঝড়, জেলায় আগাম সর্তকতা জারি
জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার অভিযান চালায় ডিআরআই। অভিযান।চালানো হয় জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের পানিকৌড়ি মোড় এলাকায়। অভিযান চালিয়ে অসম নম্বরের একটি গাড়ি আটক করা হয়। গাড়িতে থাকা দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সোনা পাচারের বিষয়টি জানতে পারে ডিআরআই-র আধিকারিকরা।
এ দিন শিলিগুড়ির কলেজ পাড়া এলাকার অফিসে নিয়ে গিয়ে গাড়ির তল্লাশি চালানো হয়। উদ্ধার হয় আনুমানিক ১ কেজি ১৬২ গ্রাম সোনা। সোনাগুলি স্প্রিং-এর আকারে চার ভাগে রাখা ছিল। এরপরই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতরা অসমের বাসিন্দা নারায়ণ শর্মা এবং মণিপুরের বাসিন্দা কুবের প্রসাদ। শুক্রবার ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়।
এ বিষয়ে ডিআরআই-র তরফে আইনজীবী রতন বনিক বলেন, 'প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ইন্দো-মায়ানমার সীমান্ত হয়ে ওই সোনা নিয়ে আসা হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল নেপালে নিয়ে যাওয়া। সেই লক্ষ্যেই ধৃতরা রওনা হয়েছিল। সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'
অনির্বাণ রায়
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Siliguri