Alipurduar River Erosion: দুই নদীর সাঁড়াশি আক্রমণে ঘুম উড়ছে রাতের! জমিজমা, ভিটে মাটি হারানোর আশঙ্কায় ১৫০ পরিবার
- Reported by:Annanya Dey
- hyperlocal
- Published by:Madhab Das
Last Updated:
Alipurduar River Erosion: নদীর পাড়ে বাস, চিন্তা বারো মাস', এই কথাটি যে কতটা সত্যি, তা প্রতি মুহূর্তে অনুভব করছেন তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের ছিট বড়লাউকুঠি গ্রামের চান্দেরমাটি এলাকার বাসিন্দারা।
আলিপুরদুয়ার: ‘নদীর পাড়ে বাস, চিন্তা বারো মাস’, এই কথাটি যে কতটা সত্যি, তা প্রতি মুহূর্তে অনুভব করছেন তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের ছিট বড়লাউকুঠি গ্রামের চান্দেরমাটি এলাকার বাসিন্দারা।
গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে আলিপুরদুয়ারের সংকোশ এবং গঙ্গাধর নদীতে জলস্ফীতির জেরে ব্যাপক পাড় ভাঙন শুরু হয়েছে। তাতেই গ্রামবাসীদের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। বর্ষা যত এগিয়ে আসছে, বিপদগ্রস্তদের চিন্তা ততই বাড়ছে। প্রাণে বাঁচতে অনেকেই দু-তিনবার অন্যত্র ভিটে সরিয়ে নিয়েছেন। তবুও রেহাই নেই। নদী ক্রমাগত এগিয়ে আসায় বাসিন্দাদের অনেকের শেষ সম্বল আবাদি জমি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। যে জমি খাবারের জোগান দিত, সেও আজ আর নেই। ফলে কৃষিজীবী গ্রামবাসীরা রুটিরুজির তাগিদে নিঃস্ব হয়ে শ্রমিক বনে গিয়েছেন।
advertisement
advertisement
গ্রামবাসীরা জানান, সেচ দফতরের তরফে অবিলম্বে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা। স্থানীয় বাসিন্দা আবু সায়েদ শেখের কথায়, ‘কৃষিকাজের উপর নির্ভর করে সংসার চালাতে হয়। দেড় বিঘা আবাদি জমির মধ্যে এ বছর এক বিঘা আবাদি জমি ফসল সহ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরিবার সারাবছর কী খাব তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছি। প্রশাসন থেকে এর আগে এসে কয়েকবার দেখে গিয়েছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।” এদিকে, তুফানগঞ্জ মহকুমা সেচ দফতরের আধিকারিক সৌরভ সেন ফোনে জানিয়েছেন, ভাঙ্গন রোধে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অনুমোদন মিললেই সেই কাজ শুরু করা হবে।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অসম সংলগ্ন ছিট বড়লাউকুঠি গ্রাম। সংকোশ এবং গঙ্গাধর নদী গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে গোটা গ্রামকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। নদী ভাঙনের ফলে অস্তিত্ব সংকটে চান্দের মাটি এলাকার অসংখ্য কৃষিজীবী পরিবার। নদীতে জলস্ফীতির জেরে নতুন করে এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রবল ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের জেরে ভিটেমাটি হারানোর আশঙ্কায় রাতের ঘুম উড়েছে ১৩০-১৫০টি পরিবারের। ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য অনেকে বাড়িঘর কিছুটা দূরে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন। যাঁদের সামর্থ্য নেই, তাঁরা রয়ে গিয়েছেন নদীর পাড়ে।
advertisement
Annanya Dey
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Kolkata [Calcutta],Kolkata,West Bengal
First Published :
Jun 26, 2025 7:51 PM IST








