#উত্তর দিনাজপুর: করনদিঘি শিব মন্দিরে পুজো দেওয়া হল না কালু হাজরা নামে এক বালকের।শিবের মাথায় জল ঢালার আগে নাগর নদিতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল।বির্পযয় মোকাবিলা দল এসে তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার করে।এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, উত্তর দিনাজপুর জেলার কিরনদিঘি থানার টুঙ্গিদিঘির বাসিন্দা ভীম হাজরা তার স্ত্রী এবং নাতি কালু হাজরা সঙ্গে নিয়ে করনদিঘি থানার নাগর নদিতে স্নান করতে আসেন।তিনজন একসঙ্গে জলে নামলেও কালু জল থেকে না ওঠায় তাদের সন্দেহ হয়।চিৎকার চেঁচামেচিতে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধারে নেমে পড়ে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ এবং করনদিঘি থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল।বিপর্যয় মোকাবিলা দল তল্লাশিতে নেমে কালুর নিথর দেহ উদ্ধার করে।এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃত বালকের দাদু ভীম হাজরা জানান আজ সকালে শিব মন্দিরে পুজো দেবার জন্য স্ত্রী এবং নাতিকে নিয়ে বাড়ি থেকে বার হন। টুঙ্গিদিঘি থেকে গাড়িতে চেপে নাগর নদীতে আসেন।নদীতে স্নান করে শিব মন্দিরে পুজো দেবার পরিকল্পনা ছিল। এক সঙ্গে তিনজন নদীতে স্নান করতে নামেন। তারা দুই জন জল থেকে উপরে উঠলেও নাতি জল থেকে ওঠেনি।চিৎকার চেঁচামেচিতে এলাকার মানুষ ছুটে আসেন। আসেন রায়গঞ্জ এবং করনদিঘি থানার পুলিশ। এলাকার মানুষ ছাড়াও তাকে উদ্ধারে আসেন বির্পযয় মোকাবিলা দল। তারাই এসে নাতির দেহ উদ্ধার করে।
খবর পেয়ে নাগর নদিতে ছুটে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসের করনদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী জেলা যুব সভাপতি গৌতম পাল। দেহ উদ্ধারে তিনি তদারকি করেন। দেহ উদ্ধারের পর গৌতমবাবু জানান, মহা শিবরাত্রি চলছে। করনদিঘি ব্লকের বহু মানুষ আছেন যারা নাগর নদি থেকে জল নিয়ে শিবের মাথায় ঢালেন। এমনই একজন করনদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের অর্ন্তগত টুঙ্গিদিঘি এলাকার বাসিন্দা ভীম হাজরাও।তার স্ত্রী এবং নাতিকে নিয়ে নাগর নদিতে পুণ্য স্নান করে শিবের মাথায় জল ঢালার পরিকল্পনা ছিল।কিন্তু সেই বাসনা তাদের পূর্ণ হলা না ৷ তিন জন একসঙ্গে স্নান করতে নেমে তার নাতি কালু হাজরা মাত্র ১২ বছর বয়সে তলিয়ে যায়।বির্পযয় মোকাবিলা দল এসে তার নিথর দেহ উদ্ধার করে।শোকাহত পরিবারে পাশে তিনি আছেন।তার পরিবারকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন।
Uttam Paul