South Dinajpur News : অভাব-অটশন নিত্যদিনের সঙ্গী, ২ বার টেট পরীক্ষায় পাশ করেও মেলেনি চাকরি! অগত্যা যা করতে হচ্ছে যুবককে

Last Updated:

South Dinajpur News : দু'বার প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। দিয়েছেন ইন্টারভিউও। কিন্তু শিক্ষকের চাকরি আজও অধরা। সংসারের হাল ধরতে এই চাকরিপ্রার্থী ভ্যান চালিয়ে সব্জি নিয়ে আসেন হাটে। হবু শিক্ষক এখন সব্জির দোকান সামলাচ্ছেন সারাদিন।

+
টেট

টেট পরীক্ষায় সাফল্য 

দক্ষিণ দিনাজপুর : সংসারের হাল ধরতে দু’বার প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থী আজ সব্জির দোকান করে সংসার অতিবাহিত করতে বাধ্য হচ্ছে। এর মধ্যেও দিয়েছেন ইন্টারভিউও। কিন্তু শিক্ষকের চাকরি আজও অধরা। সংসারের হাল ধরতে এই চাকরিপ্রার্থী ভ্যান চালিয়ে সব্জি নিয়ে আসেন হাটে। হবু শিক্ষক এখন সব্জির দোকান সামলাচ্ছেন প্রতিদিন।উল্লেখ্য, বালুরঘাট ব্লকের কামারপাড়ার ডুমইর গ্রামে বাড়ি বাপি দাসের। জানা যায়, ২০১৭ সালে প্রাথমিক টেটে তিনি ৯৫ নম্বর পেয়ে পাশ করেন। এরপর ২০২২ সালের পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ১০৫।
বিগত প্রায় ছয় বছর আগে পাশ করা টেট পরীক্ষার ইন্টারভিউ চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দিয়েছেন। কিন্তু তারপরে চাকরি এখনও পর্যন্ত কপালে জোটেনি। কিন্তু পেট তো চালাতে হবে। এখন কামারপাড়া বাজার ও হাটে গেলেই সব্জির পসরা সাজিয়ে বাপিকে দেখা যায়। সূর্য ওঠার আগেই ঘুম থেকে উঠে নিজেই ভ্যান চালিয়ে সবজি নিয়ে আসেন হাটে। তারপর সারাদিন চলে বেচাকেনা। ২০১১ সালে বাদামাইল এলপি হাই স্কুল থেকে ৫৮৯ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক পাশ করেন। দু’বছর পরে উচ্চমাধ্যমিকে ৮১ শতাংশ নম্বর পান। তারপরেই প্রাথমিক শিক্ষকের প্রশিক্ষণ নিতে ভর্তি হন কুরমাইলের সরকারি ডিএড কলেজে। পরে বাংলায় সাম্মানিক স্নাতকে ৬৪ শতাংশ ও স্নাতকোত্তরে ৮৫ শতাংশ নম্বর তার।
advertisement
advertisement
বাবা বিপুলচন্দ্র দাস একজন সাধারন কৃষক। মা কল্পনা দাস গৃহবধূ। পরিবারের একমাত্র তিনিই পুত্র সন্তান। তার দিদি দীপা দাসের ইতিমধ্যেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এখন সংসারের হাল ধরার একমাত্র মানুষ বাপি। যদিও সব্জি বিক্রির পাশাপাশি তিনি গ্রামের পড়ুয়াদের টিউশন পড়ান। যেখানে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত তার ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। যেখানে বাংলা, শিক্ষা বিজ্ঞান, দর্শনশাস্ত্রের মতো বিষয় তিনি পড়ান।
advertisement
আরও পড়ুন: সপুত্র আরাবুলের বিরুদ্ধে এফআইআর, আইএসএফ কর্মী হত্যাকাণ্ডে বিপাকে তৃণমূল নেতা
প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থী তথা সব্জি বিক্রেতা বাপি দাসের কথায়, ‘সবজি বিক্রি করে কোনও শিক্ষকের কাছে পড়তে যেতে পারতাম না। দোকানে বসেই মোবাইলেই বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে পড়াশোনা করতাম। বাড়ি ফিরে রাতে কিছু বিষয় পড়তাম। অন্যের দুর্নীতির খেসারত আমাদের দিতে হচ্ছে। বিচারব্যবস্থায় তোড়জোড় দেখে সুদিন ফিরবে ভেবেছিলাম। সেখানেও আশার আলো ক্ষীণ হয়ে আসছে। ছয় বছর আগে টেট পরীক্ষায় পাশ করেছি। এই বছর তার ইন্টারভিউ দিলাম। গত বছর পরীক্ষায় পাশ করার পর তার কোনও খবর নেই। এইভাবে আমাদের মূল্যবান সময়গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’আমাদের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে সরকারের দেখা উচিত বলে মনে করছে দু’বারের টেট উত্তীর্ণ বাপি দাস।
advertisement
সুস্মিতা গোস্বামী
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
South Dinajpur News : অভাব-অটশন নিত্যদিনের সঙ্গী, ২ বার টেট পরীক্ষায় পাশ করেও মেলেনি চাকরি! অগত্যা যা করতে হচ্ছে যুবককে
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement