North 24 Parganas News: এক মাইলের মধ্যে অন্য কোনও কালী পুজো হলেই ক্ষুব্ধ হন মা, আদেশ অমান্য করেই সর্বস্বান্ত ব্যবসায়ী! জানুন  

Last Updated:

North 24 Parganas News: এক মাইলের মধ্যে অন্য  কালীর পুজো হলেই ক্ষুব্ধ হন  মা! ভীষণ জাগ্রত সংগ্রামপুরের দক্ষিণা কালী। বসিরহাটের এই জাগ্রত কালীর অলৌকিক কাহিনি চমকে দেবে!

+
সংগ্রামপুরের

সংগ্রামপুরের দক্ষিণাকালী

#উত্তর ২৪ পরগনা: ‌এক মাইলের মধ্যে অন্য কোন কালীর আরাধনা হলেই ক্ষুব্ধ হন সংগ্রামপুরের দক্ষিণা কালী। বসিরহাটের এই জাগ্রত কালী কে ঘিরে পুজোর দিন নামল ভক্তদের ঢল। ছ’শো বছরের পুরনো ইতিহাস পাশাপাশি ঐতিহ্য আর আড়ম্বর। বসিরহাটের সংগ্রামপুরের কালীমন্দির মানেই তার সঙ্গে যুক্ত এইসব। এখানে আজও অটুট পাঠা বলির প্রথা। এই মন্দিরের এক মাইলের মধ্যে অন্য কোনও কালীপুজো হয় না। এটাই প্রথা, যা এই মন্দির স্থাপিত হবার পর থেকে চলে আসছে। মা এখানে দক্ষিণা কালী রূপে পূজিত হন। খুব জাগ্রত মা বলেই জানালেন এলাকা বাসীরা।
দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দিরের পরই আমাদের এই কালী মন্দিরের স্থান। তাই তো হাজার হাজার ভক্ত সমাগম ঘটে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। এমনই জানালেন মন্দিরের সেবায়েত ছটু চক্রবর্তী। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই মন্দির নির্মাণের জন্য জায়গা দান করেন। এরপর কৃষ্ণচন্দ্র এবং গ্রামবাসীদের উদ্যোগে এই কালী মন্দির স্থাপিত হয়। তবে আজ যে রূপ মন্দিরের, তেমনটা আগে ছিল না। শুরুতে ছিল একটা খড়ের চাল দেওয়া মন্দির। তারপর ভক্তদের দানে ও মন্দিরের উন্নয়ন কমিটির সৌজন্যে আজ এমন রূপ পেয়েছে।
advertisement
রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় মন্দির স্থাপিত করার পাশাপাশি এই মন্দিরে পুজো করার জন্য পুরোহিতেরও বন্দোবস্ত করেন আর তারাই বর্তমানে পূর্বপুরুষ ধরে পুজো করে আসছেন এই মন্দিরের। এখন পুরোহিত চক্রবর্তী পরিবারের আট জন শরিক। একেক জন নয় দিন করে পুজো করেন এই মন্দিরে। অর্থাৎ পূজারিরা প্রত্যেকেই একই পরিবারের একই গোত্রের। যেমন, মানিক চক্রবর্তী, সদানন্দ চক্রবর্তী, শিবু চক্রবর্তী সকলেই পালা করে পুজো করেন। সেই কৃষ্ণচন্দ্রর সময় থেকে এটাই প্রথা। কথিত আছে, এই মন্দিরে মা কালীর সামনে রাখা ঘটটি সংগ্রামপুরের জনৈক এক ব্যক্তির হাতে আসে। আর এই ঘটকে অবলম্বন করেই এই মন্দির গড়ে ওঠে। মন্দিরে মায়ের যে মূর্তিটা রয়েছে, তা কী দিয়ে তৈরি, কেউ জানেন না এখনও। এমনকী কে মূর্তিটি প্রতিষ্ঠা করেন, তাও এই মন্দিরের প্রবীণ পূজারিদের কাছে অজানা।
advertisement
advertisement
এক পূজারির থেকে জানা গেল, মা এখানে দক্ষিণা কালী রূপে বিরাজমান। মন্দিরে নিত্য পুজো তো চলেই এবং ভোগও থাকে মায়ের জন্য প্রতিদিন। কালীকে একেক দিন একেক রকম ভোগ নিবেদন করা হয়। যেমন লুচি, চিঁড়ে, ফল, খিচুড়ি,পায়েস ইত্যাদি। এই মায়ের পুজো শুরু হলে এক মাইলের মধ্যে কোনরকম পুজো করার নিদান নেই। একবার এক ব্যবসায়ী সেই আদেশকে উপেক্ষা করে মন্দিরের এক মাইলের মধ্যে শ্যামা পূজার আয়োজন করেন। তারপর তিনি সর্বস্বান্ত হন। শ্যামা পূজা উপলক্ষে আমিষ ভোগও দেওয়া হয়। যেমন চিংড়ি মাছ ও কচু শাক। পাঠা বলি দিয়ে মাকে বলির কাঁচা মাংসও নিবেদন করা হয়। এখানে শ্যামা পুজোর দিনও দেখা গেল কিছু বিশেষ রীতি বা প্রথা পালন করতে। যা চলে আসছে প্রায় ৬০০ বছর ধরে।মন্দির কমিটির সূত্রে জানা গিয়েছে, বলি প্রথা হঠাৎ বন্ধ করে দিলে যদি মা ক্ষুব্ধ হন, যদি গ্রামে মড়ক লাগে! তাই ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে আজও চলে কালী পুজোর দিন পাঠা বলির এই প্রথা।
advertisement
রুদ্র নারায়ণ রায়
বাংলা খবর/ খবর/উত্তর ২৪ পরগণা/
North 24 Parganas News: এক মাইলের মধ্যে অন্য কোনও কালী পুজো হলেই ক্ষুব্ধ হন মা, আদেশ অমান্য করেই সর্বস্বান্ত ব্যবসায়ী! জানুন  
Next Article
advertisement
Durga Puja Weather Update: নবমীর রাত থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন ! তার আগে সপ্তমী-অষ্টমীতে কী পূর্বাভাস? বৃষ্টি কি বাধ সাধবে ঠাকুর দেখায়
নবমীর রাত থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন ! সপ্তমী-অষ্টমীতে কী পূর্বাভাস? বৃষ্টি কতটা হতে পারে
  • নবমীর রাত থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন !

  • তার আগে সপ্তমী-অষ্টমীতে কী পূর্বাভাস?

  • বৃষ্টি কি বাধ সাধবে ঠাকুর দেখায়

VIEW MORE
advertisement
advertisement