রাতুল ব্যানার্জি, উত্তর ২৪ পরগনা : ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সমস্যায় পড়েছেন বহু কৃষক। সেচের কাজে পাম্পসেট ব্যবহার করতে পারছেন না অনেক চাষীরা। আবার জল কিনেও সেচের কাজ সম্ভব হচ্ছে না। ডিজেল বা ইলেকট্রিক চালিত মোটর থেকে যে সমস্ত কৃষকরা জমিতে জলসেচ দিতেন, তারা আর জল কিনে কৃষি জমিতে জলসেচ করতে পারছেন না। কারণ একটাই, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি।
বর্ষাকাল বাদ দিলে, সারা বছর কম বেশি জমিতে জলসেচ করতে হয় কৃষকদের। বিশেষ করে প্রান্তিক চাষীরা জল কিনে চাষ করতেন। কিন্তু বর্তমানে ইলেকট্রিক মোটর বা ডিজেল চালিত মোটর থেকে কৃষকদের ঘন্টায় ১৫০ টাকা করে জল কিনে কৃষিকাজ করতে হচ্ছে। ফলে, এই সময় ধান চাষ বা শীতকালীন সবজি চাষে সমস্যা বাড়ছে কৃষকদের।
কৃষকদের এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এসেছে বেশকিছু সরকারি প্রকল্প। সোলার পাম্প সেট এর মাধ্যমে জলসেচ। সোলার পাম্প সেট জলসেচ করতে কোন রকম খরচ নেই। তবে এই পাম্পসেট সিস্টেম রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৫০ টাকা করে নিচ্ছেন কৃষকরা।
কি সেই পদ্ধতি, আসুন জেনে নেওয়া যাক-কোনো ফারমার্স ক্লাব যদি একত্রিত ভাবে কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র বা নাবার্ড এর কাছে আবেদন করে সোলার পাম্প বসানোর জন্য, তাহলে সমস্ত দিক বিবেচনা করে সোলার পাম্প সেট বসিয়ে দেওয়া হবে। আর এই কাজে যে পরিমাণ টাকা খরচ হচ্ছে, তার নব্বই শতাংশ সাবসিটি পেতে পারে ফারমার্স ক্লাব। তবে সবটাই এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে। একটি পাম্পসেট বসাতে প্রায় ছয় লক্ষ টাকা খরচ এবং একবার বসালে কম করে কুড়ি বছর চলবে, বলে আশা বিশেষজ্ঞদের।
প্লেটের মাধ্যমে সূর্যের আলোয় চার্জ হবে ব্যাটারি। আর সেই ব্যাটারি দিয়ে চলবে মোটর। একটি পাম্পসেট থেকে প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে জল সেচ করা সম্ভব, বলে মনে করছেন কৃষকেরা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা ব্লকের ইছাপুর গ্রামের কৃষক, (অপুর কৃষক সমিতি) ফারমার্স ক্লাব এর সভাপতি ভোলানাথ পাল, এরকম একটি সোলার পাম্প সেট বসিয়েছে, যেখান থেকে কৃষকরা খুব কম খরচে জল কিনে চাষ করতে পারছেন। তবে বর্ষা কালে আকাশ মেঘলা থাকায় ব্যাটারি চার্জের একটু সমস্যা দেখা দেবে। পাশাপাশি বর্ষাকালে জলের সেরকম চাহিদা না থাকায় পাম্পসেট অবশ্য কম চালানো হয়, তাই খুব একটা অসুবিধা হবে না, বলে মত কৃষকদের।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Farmer, Fuel Price Hike, North 24 Parganas, Solar power