নাটাগড়: প্রেমিকার প্রত্যাখ্যানে আত্মহত্যা একাদশ শ্রেণীর ছাত্রের। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ পায়নি ছাত্রের বাবা মা। উপরন্তু আত্মঘাতী ছাত্রের সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেছে পুলিশ। ঘটানাটি ঘটেছে ঘোলা থানার নাটাগড় এলাকায়। আত্মঘাতী ছাত্রের নাম হিতব্রত বোস বলে জানা গিয়েছে। জানা যায়, দীর্ঘ্য ৬ মাস ধরে একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিল হিতব্রত। মেয়েটি হিতব্রতর প্রতিবেশী বলে জানা গিয়েছে।
মেয়েটি ও তার পরিবার বহুদিন ধরেই ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল করছিল তাঁর ছেলেকে এমনই দাবি করেছেন হিতব্রতর মা সিক্তা বসু। জানাগিয়েছে, ৮ই ডিসেম্বর বাড়ি থেকে বন্ধুদের কাছে যাওয়ার নাম করে ওই মেয়েটির বাড়িতে যায় আত্মঘাতী ছাত্র। ৯ ডিসেম্বর আত্মহত্যা করে হিতব্রত। কিন্তু যতবারেই সিক্তাদেবী ছেলেকে কোথায় আছে বলে জানার জন্য ফোন করে ততবারই হিতব্রত মিথ্যা জানায় মাকে। পরে ৯ ডিসেম্বর সকাল বেলা শত ডাকাডাকির পরেও ঘুম থেকে ওঠেনি একাদশ শ্রেনীর ছাত্র। শেষে বাবা শ্যামল বোস ও মা সিক্তা বোস পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘোলা থানার পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
হিতব্রতর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট দেখে অনুমান করা যায়, মৃত্যুর আগের দিন প্রেমিকার মা ও প্রেমিকা বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ আটকে রেখে মানসিক নির্যাতন করে তাকে। সমস্ত প্রমাণ ঘোলা থানার হাতে তুলে দেওয়ার পরও হিতব্রতর মৃত্যুর প্ররোচনা দেওয়ার অপরাধে প্রেমিকার মা কিংবা তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে কোনও রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি পুলিশ।যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও তদন্ত চলছে বলে জানানো হয়েছে। ঘটনার ২ মাস চলে গেলেও তদন্ত আর কতদিন ধরে চলবে? প্রশ্ন হিতব্রতর বাবা ও মায়ের। এর আগেও পুকুরে ডুবে মারা যায় হিতব্রতর বড় ভাই। দোষীদের শাস্তির দাবিতে দিন গুনছেন সদ্য সন্তান হারা বাবা মা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: North 24 pargana