#উত্তর ২৪ পরগনা: বিয়ে হয়েছে মাত্র কয়েকটি দিন। হানিমুনে হিমাচল প্রদেশ গিয়েছিলেন নবদম্পতি। তারপরই রহস্যজনকভাবে পাহাড়ের খাদে পড়ে মৃত্যু সদ্যবিবাহিতা গৃহবধূর। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই যদি পাহাড়ের কিনারায় ছবি তুলছিলেন, তবে একজনের মৃত্যু হলেও অপরজন কিভাবে অক্ষত রইলেন? এ প্রশ্ন জোরালো হতেই মৃত্যুর কারণ নিয়ে বাড়ছে রহস্যের জট। স্বামীর অবশ্য দাবি, সুইসাইড পয়েন্ট-এ গিয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে খাদে পড়ে যায় স্ত্রী। সেলফি তুলতে গিয়ে খাদে পড়ে মৃত্যু? নাকি নববধূকে কেউ ঠেলে ফেলে দিয়েছে ? তা খতিয়ে দেখতে স্বামীকে আটক করা হয়েছে। গাড়িচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে হিমাচল পুলিশ। প্রাণোচ্ছল মেয়ের এমন মৃত্যুর ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না প্রতিবেশীরাও।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, উত্তর ২৪ পরগনা আগরপাড়া নর্থ স্টেশন রোড এলাকার বাসিন্দা জয়িতা দাসের সঙ্গে দমদম পাইকপাড়া এলাকার বাসিন্দা রাহুল পোদ্দারের বিয়ে হয় চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি। বিয়ের পর হানিমুনে হিমাচল প্রদেশ এ যান নব দম্পতি। ঘুরতে যাওয়ার পর হঠাৎই হিমাচল প্রদেশের কোন্নর জেলা পুলিশ স্টেশন থেকে ফোন আসে জয়িতার বাড়িতে। জানানো হয় তার মৃত্যু সংবাদ। মেয়ের দুর্ঘটনার খবর শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন জয়িতার বাবা যাদব চন্দ্র দাস। তিনি জানালেন, দুজনে একসঙ্গে ওখানে সেলফি তুলতে গিয়ে কেন শুধু মেয়ে দুর্ঘটনার শিকার হলো। জয়িতার খাদে পড়ে যাওয়ার খবর জানতে পেরে তার পরিবার ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ছুটে গিয়েছেন হিমাচলে।
এলাকার হাসিখুশি এক মেয়ের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় ব্যথিত হয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি অনুপম দত্ত। স্বামী-স্ত্রী দুজনে সুইসাইড পয়েন্ট সেলফি তুলছিলেন। তবে সে সময় কিভাবে নববধূ খাদে পড়ে গেলেন? এই ঘটনা সামনে আসতেই সন্দেহ দানা বেঁধেছে নব বিবাহিতা স্ত্রীর পরিবারে। গোটা ঘটনার সত্য অনুসন্ধানে প্রশাসনকে তৎপর হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন জয়িতার পরিবারের সদস্যরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Honeymoon, Mountain, North 24 Pargana news