#চেন্নাই: ভারতে এখনও মজ্জায় মজ্জায় ঢুকে রয়েছে পুরুষতান্ত্রিকতা। এমন অনেক কাজ আছে, যে খানে মহিলাদের অংশগ্রহণকে বাঁকা চোখে দেখে সমাজ। কিন্তু একা মহিলাকে বাঁচতে গেলে কিছু তো করতে হবে। সন্তানকে বড় করতে চাই যথেষ্ট পরিমাণ অর্থের। আর উপার্জনের তাড়নাতেই শেষ ৩০ বছর ধরে যা করে আসছেন এস পেচিআম্মা, সে কথা শুনলে চোখ কপালে উঠবে। বাইরে থেকে তাঁকে দেখে মনে হবে, এ এক অন্য মানুষ। কিন্তু তা তো নয়!
মাত্র ২০ বছর বয়সে বিয়ে হলেছিল তাঁর। কিন্তু বিয়ের ১৫ দিন পরেই তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়। এই কদিনের মধ্যেই গর্ভবতী হয়ে পড়েন তিনি। সন্তানের চিন্তা থেকে নিজের খাওয়া দাওয়ার চিন্তা তাঁকে গ্রাস করতে শুরু করে। সেই কারণেই তিনি উপার্জনের পথ খুঁতে বেরিয়ে পড়েন। এটি নির্মানকাজের শ্রমিক হিসাবে কাজ পেয়ে যান। কিন্তু টিকতে পারেননি। তিনি মহিলা হয়ে নির্মাণাকাজের শ্রমিকের কাজ কেন করবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। বাধ্য হয়ে কাজ ছেড়ে দিতে হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন: এই সপ্তাহেই নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করব: শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপক্ষ
কিন্তু এর পরেই তিনি পথ বদলানোর কতা ভাবেন। মহিলা হয়েও ধরেন পুরুষের মূর্তি। সেই কারণে কাজ পেতে সুবিধা হয় তাঁর। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে, বাড়ির কয়েজন আত্মীয় শুধু এই ছদ্মবেশের কথা জানতেন। তার পর থেকেই কোথাও রঙের মিস্ত্রী, কোথাও ১০০ দিনে কাজ করতে শুরু করেন তিনি। আজ থেকে ২০ বছর আগে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার পর পাকিস্তান? ঋণে জর্জরিত পাকিস্তানকে ভয়ানক হুমকি চিনের, থমকে যেতে পারে সব
এখন তাঁর বয়স ৫৭! ২৭ বছর বয়স থেকেই তিনি পরিচিত হন পুরুষ হিসাবে, নাম ধারণ করেন মুথু। তিনি বলেছেন, মেয়ের জীবন নিশ্চিত করতে যতদূর সম্ভব তিনি যেতে পারেন। সেখানে অর্থ উপার্জনের রাস্তা একটাই, তাই এই পদ্ধতি গ্রহণ করেন তিনি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bizarre