যেই কারণে লোকসভা নির্বাচনে ন্যায় প্রকল্পের পর রাহুলের নয়া প্রচার হাতিয়ার 'কংগ্রেস হ্যায় না'
Last Updated:
#নয়াদিল্লি: দিল্লি দখলের লড়াইয়ে নিজেদেরকে একধাপ এগিয়ে রাখতে ন্যায় প্রকল্পের উপরই ভরসা করছে কংগ্রেস । দেশের যুবসমাজ ও কর্মপ্রার্থীদের রাগকে হাতিয়ার করেই এই লড়াইয়ের শুরুতেই ন্যায় প্রকল্প ঘোষণা করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি । রাজনৈতিক মহলের অভিমত, ২০০৯ সালে কৃষি ঋণ মুকুবের প্রতিশ্রুতি ও ২০১৯ সালে ন্যূনতম আয় সহায়ক-দুইয়ের মধ্য দিয়ে একই ধরনের ফল আশা করছে জাতীয় কংগ্রেস ।
তবে শুনতে যতই সম্ভাবনাময় হোক, বাস্তবে অনেক ভোটারই এই প্রকল্প সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। রায়বরেলী ও অমেঠির ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেছেন News18 এর প্রতিনিধিরা ও সোনিয়া ও রাহুলের কেন্দ্রের ভোটাররাই এই ন্যায় প্রকল্প সম্পর্কে বিশেষ কিছুই জানতেন না। অমেঠিতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন রাহুলের রোড শোতেও উড়েছে ন্যায়ের পতাকা কিন্তু বহু মানুষ একে বহুজন সমাজবাদী পার্টি তথা বসপার দলীয় পতাকা ভুল করেছিলেন কারণ বসপার দলীয় পতাকা ও ন্যায় প্রকল্পের পতাকা-দুটিরই রং নীল ।
advertisement
তবে শুধুমাত্র সাধারণ ভোটাররাই নন, পতাকা দ্বন্দ্বে পড়েছিলেন খোদ কংগ্রেসের কর্মীরাও । অমেঠিতে বসপা কংগ্রেসকে সমর্থন করছে ও সেইজন্যই আমাদের মনে হয়েছিল যে এটি হয়ত তাঁদেরই মস্তিস্কপ্রসূত, News18কে জানিয়েছেন এক কংগ্রেস সদস্য । কংগ্রেসকে পরোক্ষভাবে সমর্থন জানিয়ে অমেঠি ও রায়বরেলী কেন্দ্র থেকে প্রার্থী দেয়নি সপা-বসপা-আরএলডি জোট ।
advertisement
এই ন্যায়-জটকে সামাল দিতেই এবার 'অব ন্যায় হোগা' (এবার ন্যায়বিচার হবে) শ্লোগানের পাশাপাশি এবার 'কংগ্রেস হ্যায় না' শ্লোগানও জুড়তে চলেছে দল । অর্থাৎ তাঁদের মূল বক্তব্য, কংগ্রেস যদি পাশে থাকে তালে ন্যায়বিচার নিয়ে চিন্তা করার কোনও কারণ নেই । এর ফলে একইসঙ্গে কংগ্রেস ও ন্যায়; উভয়েরই জোরদার প্রচার সম্ভব হচ্ছে ।
advertisement
'শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে নয়, কংগ্রেস যেন সব সমস্যার সমাধান হতে পারে-এই ভাবধারাকে গড়ে তোলাই মূল লক্ষ্য ছিল । যেমন কেউ যদি কর্মহীন নন, তার জন্যেও কংগ্রেস আছে না,' এমনই মত দলীয় কর্মীদের । তাহলে'কংগ্রেস হ্যায় না' ও 'মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়' এর মধ্যে কোথাও কি মিল থেকেই যাচ্ছে। চন্ডীগড়ের ডিজাইনার নরেশ অরোরা যিনি এই কংগ্রেস হ্যায় না প্রচারের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি জানিয়েছেন মানুষের মতামত নিয়েই এই শ্লোগান বানানো হয়েছে । রাজস্থান, ছত্তীসগড় ও পঞ্জাবে বহুল জনপ্রিয় প্রচার চালানোর পরই 'কংগ্রেস হ্যায় না' এর উদ্ভাবন হয়েছে। যেমন পঞ্জাবে শ্লোগান ছিল -;ঝুট পর চোট, সচ কো ভোট'(মিথ্যাকে আঘাত করে সত্যিকে ভোট) বা পঞ্জাবে প্রচার শ্লোগান ছিল 'ম্যায় ক্যাপটেন দে নাল' যার প্রধান মুখ ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং ।
advertisement
অরোরার মতে 'কংগ্রেস হ্যায় না', দলের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক ফলাফলই আনবে, রাজ্যের মতই কেন্দ্রেও কংগ্রেসের প্রাসঙ্গিকতার লড়াইয়ে বাড়তি মাত্রা এনে দেবে এই শ্লোগান ।
তবে নির্বাচনী প্রচারের সময় কেবলমাত্র একটি শ্লোগান কংগ্রেসের পক্ষে লাভজনক নাও হতে পারে ও সেই কারণেই দলকে সৃজনশীল ভাবনাচিন্তা ও সঠিক ট্রাম্প কার্ডে খেলা চালিয়ে যেতেই হবে যদি ১০০ এর বেশি আসন তাঁদের লক্ষ্য হয় ।
Location :
First Published :
April 14, 2019 8:56 PM IST