#মুম্বই: মুম্বইকরদের কাছে শিবাজিপার্ক, কলকাতাবাসীর কাছে ময়দানের মতো৷ আর শিবাজিপার্ক জানে, শিবসেনার 'প্রথম সব কিছু'৷ ১৯৬৬ সালে শিবসেনার প্রথম র্যালি থেকে শুরু করে বালাসাহেব ঠাকরের অন্ত্যেষ্টি৷ ১৯৯৫ সালে শিবসেনা নেতা মনোহর জোশীর মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ থেকে শুরু করে আজ শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণ৷ গত ৫ দশকেরও বেশি সময় ধরে দাদারের শিবাজিপার্ক গেরুয়া রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র৷
আজ অর্থাত্ বৃহস্পতিবার সেই ঐতিহাসিক শিবাজিপার্কেই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন উদ্ধব ঠাকরে৷ শিবাজিপার্ক শুধু গেরুয়া রাজনীতি নয়, শিবসেনার ৪ প্রজন্মের উত্থানেরও সাক্ষী৷ কেশব ঠাকরে, তাঁর পুত্র বালাসাহেব ঠাকরে, উদ্ধব ও রাজ ঠাকরে এবং বর্তমানে আদিত্য ঠাকরে৷ দাদার-ওয়াডালা-মাতুঙ্গ-সিওন-মাহিম টাউন প্ল্যানিং স্কিমের আওতায় দাদারে ২৮ একরের ওই মাঠ তৈরি হয়েছিল ১৯২৫-২৬ সালে৷ ১৯২৭ সালে ছত্রপতি শিবাজির নামে মাঠটির নামকরণ করা হয়৷
রাজনৈতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও শিবাজি পার্কে প্রচুর স্পোর্টস ইভেন্টও হয়৷ সচিন তেন্ডুলকার ও বিনোদ কাম্বলির উত্থানও এই মাঠেই৷ ওই মাঠেই তাঁদের বড় হওয়া৷ বরিষ্ঠ সাংবাদিক প্রকাশ আকোলকর 'শিবসেনার ইতিহাস' নিয়ে বইয়ে লিখেছেন, ১৯৬৬ সালের অক্টোবর মাসে, যেদিন বাল ঠাকরে তাঁর প্রথম র্যালি করেন, ঠাকরে পরিবার তখন বেশ উদ্বিগ্ন ছিল, ভিড় হবে কিনা৷ তাই স্টেজটি করা হয়েছিল মাঠের মাঝখানে৷ কিন্তু দেখা যায়, মাঠে থিকথিকে ভিড়৷ সেই থেকে শিবসেনার কাছে শিবাজি পার্ক হল 'শিবতীর্থ'৷
যে দিন প্রথম শিবসেনার মুখ্যমন্ত্রী হন মনোহর জোশি, সে দিন রাজভবন নয়, শপথগ্রহণের জন্য শিবাজি পার্কই বেছেছিলেন বাল ঠাকরে৷ আজ সেই শিবাজিপার্কেই শপথ নিচ্ছেন ঠাকরে পরিবারের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী৷ শিবসেনার তরফে আজ মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন একনাথ শিন্ডে ও দিওয়ারকার রাওতে। শরদ পাওয়ারের এনসিপির তরফে শিবাজী পার্কে শপথ নেবেন ছগন ভুজওয়াল ও দিলীপ ওয়ালসে পাতিল। কংগ্রেসের তরফে মন্ত্রী হপদে শপথ নেবেন অশোক চৌহান ও বালাসাহেব থোরাট।